সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখার ১৯ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেছে। নতুন সভাপতি হিসেবে মনোনীত হয়েছেন ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থ ইভান তাহসীব এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোনীত একই সেশনের শামসুল আলম মারুফ।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ রফিক ভবনে ছাত্র সংগঠনটির বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ১৩তম কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতি ইভান তাহসীব বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ এবং সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম মারুফ আইন বিভাগের শিক্ষার্থী।
কাউন্সিলে উপস্থিত ছিলেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি ও বাসদ (মার্কসবাদী) এর কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মাসুদ রানা এবং সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির স্কুল বিষয়ক সম্পাদক দীপা মজুমদার।
কমিটিতে সহ-সভাপতি হয়েছেন খাদিজা তুল কুবরা, সাংগঠনিক সম্পাদক আপেল আহমেদ, দপ্তর সম্পাদক তৌকির আহমেদ, অর্থ সম্পাদক সিদ্ধার্থ কুমার রায়, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক খিজির আল সিফাত, স্কুল বিষয়ক সম্পাদক পল্লব কুমার, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক জুনায়েদুল ইসলাম, ক্রীড়া সম্পাদক সাজু আহমেদ, সমাজকল্যাণ সম্পাদক দীপংকর রায়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আহাম্মদ নাঈম। সদস্য: ফারিহা তাসনিম, মিশকাতুল জামান সৌমিক, তাজুল ইসলাম তুষার, সৌরভ আহমেদ, তাজওয়ার ইসলাম, নাজিব মাহমুদ অনিক, রিয়াদ সরকার।
কাউন্সিলে সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম মারুফ ও সভাপতিত্ব করেন ইভান তাহসীব। ১৩ম কাউন্সিলের উদ্বোধন করেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাফিকুজ্জামান ফরিদ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা উচ্চশিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ, বেসরকারিকরণ ও শিক্ষা সংকোচনের ফলে সৃষ্ট নানাবিধ সংকট ও সমাধানের বিষয়ে আলোকপাত করেন এবং শিক্ষা-সংস্কৃতি-মনুষ্যত্ব রক্ষায় সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সংগ্রামকে অভিবাদন জানান।
সমজাতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাফিকুজ্জামান ফরিদ বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংগ্রাম দীর্ঘদিনের। আমরা শিক্ষার্থীদের সমস্ত গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সঙ্গে ছিলাম। হল রক্ষার আন্দোলন, পাঁচ হাজার টাকা উন্নয়ন ফি বাতিলের আন্দোলন, ২৭/৪ ধারা বাতিলের আন্দোলন, খাদিজাতুল কুবরার মুক্তির দাবিতে আন্দোলন, অবন্তিকা হত্যার বিচারের দাবিতে আন্দোলন এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সক্রিয় অংশগ্রহণসহ সমস্ত আন্দোলনে সংগঠন শিক্ষার্থীদের সংগঠিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
ভয়মুক্ত গণতান্ত্রিক ক্যাম্পাস, শিক্ষার অধিকার ও মনুষ্যত্ব রক্ষার সংগ্রামে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা তার কার্যকর ভূমিকা অব্যাহত রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
আরএএস/জেএইচ/এএসএম