জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) প্রধান ফটকসহ সংলগ্ন এলাকা থেকে বাসস্ট্যান্ড অপসারণ করতে প্রশাসনকে ৪৮ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য চত্বরে মানববন্ধন করে এ আল্টিমেটাম দেন তারা। কর্মসূচি শেষে তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ ও স্মারকলিপি জমা দেন।
মানববন্ধনে ‘সিন্ডিকেটের কালো হাত, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন তারা।
বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের শিক্ষার্থী রাফি বলেন, একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে কীভাবে বাসস্ট্যান্ড থাকতে পারে? প্রশাসন কী করছে? আমরা কি সেই অপেক্ষা করব যে কোনো দুর্ঘটনায় কেউ মারা যাবে? প্রশাসনকে ৪৮ ঘণ্টার সময় দিলাম, এর মধ্যে বাসস্ট্যান্ড সরাতে হবে। রায়সাহেব বাজারের পর কোনো বাস ঢুকতে পারবে না।
এ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী আবু রায়হান বলেন, ক্যাম্পাসের সামনে বাসস্ট্যান্ড থাকার কারণে আমরা দীর্ঘদিন ধরে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। বহুবার সময় বেঁধে দেওয়ার পরও দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেই। আহত শিক্ষার্থীর ক্ষতিপূরণ চাইলে তাদেরকে ‘চাঁদাবাজ’ বলা হয়। প্রতিদিন এই বাসস্ট্যান্ডের কারণে নানা সমস্যায় পড়তে হয়। জবি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দ্রুত বাসস্ট্যান্ড সরানো জরুরি।'
মানববন্ধনে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সদস্য-সচিব কিশোর সাম্য বলেন, নিরাপদে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার ন্যূনতম নিশ্চয়তাও পাচ্ছি না। ক্যাম্পাসের সামনে যেন মৃত্যু-ফাঁদ তৈরি করা হয়েছে। রাস্তায় বাস রেখে দেওয়া হয়, ফলে রিকশা বা মোটরসাইকেলেও যেতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় নষ্ট হয়। এভাবে আমাদের কর্মঘণ্টা নষ্ট করার অধিকার কারও নেই।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসগুলো বের হলেও তারা সাইড দেয় না। এটি আমাদের জন্য যেমন হুমকি, তেমনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ ও কাঠামোও নষ্ট করছে। অবিলম্বে অবৈধ বাসস্ট্যান্ডটি অপসারণের দাবি জানাচ্ছি।
৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বাসস্ট্যান্ড সরানোর আল্টিমেটাম দিয়ে বাগছাসের জবি শাখার প্রধান সংগঠক ফেরদৌস শেখ বলেন, ক্যাম্পাসের সামনে অপরিচিত কেউ এলে মনে করবে এটি বিশ্ববিদ্যালয় নয়, বাসস্ট্যান্ড। বহুবার দাবি জানানোর পরও প্রশাসন কর্ণপাত করেনি। চব্বিশ ঘণ্টার সময়সীমা দেওয়ার পরও তা অতিক্রান্ত হয়েছে। আমরা আরও ৪৮ ঘণ্টা সময় দিচ্ছি। এ সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা না নিলে রায়সাহেব বাজার মোড় অবরোধ করে এখানে কোনো বাস প্রবেশ করতে দেব না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
এর আগে চলতি সপ্তাহে জবির মার্কেটিং বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে বাস চাপা দিলে শিক্ষার্থীরা আজমেরী গ্লোরী ও তানজিল পরিবহনের বাস আটকে রাখে।
টিএইচকিউ/কেএইচকে/জেআইএম