জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) প্রকাশ করা হবে। এদিন দুপুরে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ ফল প্রকাশের ঘোষণা দেবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ। এরপর ফলপ্রার্থী ভর্তিচ্ছুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে ফলাফল জানতে পারবেন।
বুধবার (২৫ জুন) বিকেলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই কর্মকর্তা জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তারা জানান, ফলাফল পুরোপুরি প্রস্তুত। এখন শুধু প্রকাশের ঘোষণার অপেক্ষা।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ উপলক্ষে জরুরি সংবাদ সম্মেলন আহ্বান করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গাজীপুর ক্যাম্পাসের আইসিটি ভবনের কনফারেন্স কক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সেখান থেকে ফল ঘোষণা করা হতে পারে।
গত ২১ জুন রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভা শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ জানান, ২৩ থেকে ২৫ জুনের মধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে। তবে কিছু টেকনিক্যাল জটিলতার কারণে ঘোষিত সময়ের মধ্যে ফল প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র।
- আরও পড়ুন
প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত সব কোচিং সেন্টার বন্ধ
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৭ কলেজ থেকে শেখ পরিবারের নাম বাদ
এর আগে গত ৩১ মে বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দেশের ৬৪ জেলা শহরে ৮৭৯ কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন ৫ লাখ ৬০ হাজারেরও বেশি ভর্তিচ্ছু।
জানা যায়, ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হতো। ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে প্রথমবারের মতো এসএসসি ও এইচএসসির জিপিএর ভিত্তিতে অধিভুক্ত কলেজগুলোতে শিক্ষার্থী ভর্তি শুরু করে। আট বছর পর তাতে আবারও পরিবর্তন আনা হলো। এবার ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি নেওয়া হচ্ছে।
ভর্তি পরীক্ষায় পাস নম্বর ৩৫
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা এমসিকিউ (বহুনির্বাচনি) পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। মোট ১০০ নম্বরের প্রশ্নপত্র ছিল। সময় ছিল এক ঘণ্টা। প্রতিটি প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিলে এক নম্বর পাবেন পরীক্ষার্থী। ভুল উত্তরের জন্য কোনো নম্বর কাটা হবে না। পরীক্ষায় পাস নম্বর ৩৫।
ভর্তি পরীক্ষায় এমসিকিউ অংশে প্রাপ্ত নম্বরের সঙ্গে এসএসসি পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএর ৪০ শতাংশ (চতুর্থ বিষয়সহ) ও এইচএসসি পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএর ৬০ শতাংশ যোগ করে মোট ২০০ নম্বরের ভিত্তিতে মেধাতালিকা তৈরি করা হবে।
এএএইচ/কেএসআর/জেআইএম