ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছে মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটি। তার মৃত্যুতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ও ব্লগার পিনাকী ভট্টাচার্য।
ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, জান্নাতে কোনো ধর্ষক নেই। জান্নাতে আছিয়ার ঘুমে কেউ ব্যাঘাত ঘটাবে না। শুনেছি নির্যাতনের স্বীকার হয়ে মৃত্যুবরণ করলে সে শহীদের মর্যাদা পায়। সেই হিসেবে আমাদের বোন আছিয়া শহীদ।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বিকেল ৪টার দিকে নিজের ফেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ কথা বলেন তিনি।
কালবেলার পাঠকদের জন্য পিনাকী ভট্টাচার্যের ফেসবুক পোস্টটি নিচে দেওয়া হলো-
জান্নাতে কোন ধর্ষক নেই। জান্নাতে আছিয়ার ঘুমে কেউ ব্যাঘাত ঘটাবে না। শুনেছি নির্যাতনের স্বীকার হয়ে মৃত্যুবরণ করলে সে শহীদের মর্যাদা পায়। সেই হিসেবে আমাদের বোন আছিয়া শহীদ। আর কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, শহীদকে তোমরা মৃত বলো না।
আছিয়া মারা যায়নি। দুনিয়ার জাহান্নাম থেকে মুক্তি পেয়ে আল্লাহর জান্নাতে চলে গেছে।
মহান আল্লাহ তাআলা তাকে ভালো রাখুক। আর যারা এই দুনিয়াটা ওর জন্য জাহান্নাম বানাইয়া দিছিলো, তাদের দুনিয়া আর আখিরাত দুইটাই যেন জাহান্নাম হয়ে যায়।
‘আমরা তো আল্লাহরই আর নিশ্চিতভাবে আমরা তারই দিকে ফিরে যাব।’ (২:১৫৬)
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে সিএমএইচে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটি। তার মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। আসামিদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (০৬ মার্চ) বোনের শ্বশুরবাড়ি মাগুরা শহরের পারনান্দুয়ালী এলাকায় বেড়াতে গিয়ে বোনের শ্বশুর হিটু শেখ (৫০)-এর লালসার শিকার হয় শিশুটি। ওইদিন বেলা ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যান তার বোনের শাশুড়ি।
পরে শিশুটির মা হাসপাতালে যান। ওই দিন দুপুরেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার রাতেই পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
শুক্রবার (০৭ মার্চ) রাতে শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। তারপর তাকে নেওয়া হয় সিএমএইচে।
এদিকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার শিশুটির দুলাভাই ও দুলাভাইয়ের বাবাসহ চারজনকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। রোববার (০৯ মার্চ) রাত ১২টার দিকে মাগুরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল মতিনের আদালতে শুনানি শুরু হয়।
পুলিশ আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত এক নম্বর আসামি হিটু শেখকে ৭ দিন এবং সজীব হোসেন, রাতুল শেখ ও জাবেদা বেগমের ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।