গণমুখিতা, আদর্শবাদিতা ও দায়িত্বশীলতার কারণে জামায়াত গণমানুষের সংগঠনে পরিণত হয়েছে; জামায়াত গণমানুষের কাছে পরীক্ষিত শক্তি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর মিরপুর ২নং সেকশনের মসজিদ মার্কেট এলাকায় স্থানীয় বিত্তহীনদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন। মিরপুর উত্তর থানা জামায়াতের ৭নং ওয়ার্ড এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
সেলিম উদ্দিন বলেন, জামায়াত একটি আদর্শবাদী, গণমুখী ও সুশৃঙ্খল রাজনৈতিক সংগঠন। আমরা পদ-পদবী, প্রভাব- প্রতিপত্তি বা বৈষয়িক স্বার্থে রাজনীতি করি না বরং আমাদের রাজনৈতিক দর্শনই হচ্ছে আর্ত-মানবতার মুক্তি ও গণমানুষের কল্যাণ। আমরা কোনো অনিয়ম, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি বা কোনো ধরনের অপরাধ প্রবণতার সঙ্গে জড়িত নই বরং আমরা নিজেদের অর্জিত পকেটের টাকা দিয়ে গণমানুষের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা বিগত ৫৩ বছর যাবৎ রাষ্ট্রের প্রয়োজনে যোগ্যতর নাগরিক তৈরি জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম ও কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। এ জন্য সহায়ক প্রতিষ্ঠানও আমরা প্রতিষ্ঠিত করেছি। মূলত, জামায়াতে ইসলামী সৎ ও যোগ্য লোকদের এক অদ্বিতীয় প্লাটফরম। তিনি দেশকে ক্ষুধা, দারিদ্র্য, অপশাসন-দুঃশাসন মুক্ত করতে জামায়াতের পক্ষে রায় দেওয়ার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী মানুষের পারলোকিক মুক্তি ও জাগতিক কল্যাণের জন্য দেশকে একটি ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। অপরাপর রাজনৈতিক দলগুলোও মানুষের কল্যাণ ও মুক্তির কথা বলে জনগণের রায় প্রার্থনা করে। কিন্তু ভোট নেওয়ার পর তাদের আর কোন খোঁজ পাওয়া যায় না। মূলত যারা দেশ, জাতি জনগণের জন্য কাজ করতে চান নির্বাচনে তাদের পক্ষে রায় দেওয়া উচিত। আমরা আগামীতে সকল নির্বাচনে প্রার্থী দেব। কারণ আমরা আর কখনো জালিম, অসৎ, দুঃশ্চরিত্র, চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজসহ অপরাধীদের সমর্থন দেব না। তিনি আগামীতে রাষ্ট্রের সকল পর্যায়ে জামায়াত প্রার্থীদের বিজয়ী করে দেশ ও জাতির সেবা করার সুযোগ দিতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান। তাহলেই গণমানুষের মুক্তি মিলবে।
থানা আমির মুনিরুল ইসলাম মৃধার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- নায়েবে আমির লিয়াকত আলী, সেক্রেটারি আব্দুল মান্নান, বাইতুলমাল সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন, সমাজসেবা সম্পাদক ইব্রাহিম হোসেন এবং থানার শূরা, কর্মপরিষদ সদস্য এবং বিভিন্ন ওয়ার্ডের জামায়াত নেতারা।