জাহান্নামের দরজা শিগগির খুলে যাবে, এমন মন্তব্য করেছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ। বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকার গাজা শহর দখলের জন্য আইডিএফের পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে জানিয়ে তিনি ওই মন্তব্য করেন।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বলেছেন, সরকার গাজায় হামাসকে পরাজিত করার আইডিএফের পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে। সেনাবাহিনী গাজা শহরে নতুন আক্রমণ চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।
তিনি বলেন, গাজায় হামাসের খুনি এবং ধর্ষকদের জন্য শিগগির জাহান্নামের দরজা খুলে যাবে। যতক্ষণ না তারা যুদ্ধ শেষ করার জন্য ইসরায়েলের শর্তাবলীতে সম্মত হয়, ততক্ষণ যুদ্ধ চলবে। প্রধানত সমস্ত জিম্মিদের মুক্তি এবং হামাসকে নিরস্ত্রীকরণই ইসরায়েলের লক্ষ্য।
কাটজ আরও বলেন, ‘যদি হামাস আত্মসমর্পণ না করে তাহলে গাজা শহর রাফাহ ও বেইত হানুনে পরিণত হবে।’ দুটি শহর ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। সেখানে বসবাসের কোনো পরিস্থিতিই নেই। বর্তমানে এক পরিত্যক্ত ভূমিতে পরিণত হয়েছে ওই দুই শহর।
প্রসঙ্গত, গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান ‘গিডিওন চ্যারিওটস’ এখন দ্বিতীয় ধাপে প্রবেশ করেছে। বুধবার (২০ আগস্ট) ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র এফি ডেফ্রিন জানান, ইসরায়েলি বাহিনী গাজা সিটির উপকণ্ঠে প্রবেশ করে নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
ডেফ্রিন বলেন, সেনাবাহিনীর ৯৯তম ডিভিশন দক্ষিণ-পূর্ব গাজার আল-জাইতুন এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি হামাস সুড়ঙ্গ উন্মোচন করেছে। পাশাপাশি সেনারা উত্তরাঞ্চলের জাবালিয়ায় অগ্রসর হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। সেখানে আগে থেকেই ভারী বোমাবর্ষণ চলছে।
তিনি আরও জানান, সেপ্টেম্বর থেকে অতিরিক্ত ৬০ হাজার রিজার্ভ সেনা ডাকা হয়েছে এবং কয়েকটি ব্যাটালিয়নের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। একই সঙ্গে গাজা সিটির উত্তরাঞ্চলে নতুন করে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ জারি করা হয়েছে। এর আগে আল-সাবরা ও আল-জাইতুন এলাকায় এ ধরনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তবে সেনাপক্ষ দাবি করছে, অভিযানের মধ্যেও সীমিত আকারে মানবিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি প্রসঙ্গে মুখপাত্র বলেন, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক নেতৃত্বের হাতে। আমরা অভিযানের লক্ষ্য পূরণে প্রস্তুত এবং নির্দেশ পেলেই হামাসকে আরও বড় ক্ষতি করতে পারব।