বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণার মধ্য দিয়েই এ দেশ স্বাধীনতা লাভ করেছে। ২৫ মার্চ জেনারেল ইয়াহিয়া খানের বৈঠকে তাজউদ্দীন আহমেদ শেখ মুজিবকে স্বাধীনতার ঘোষণার আহ্বান জানালে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। শেখ মুজিব বলেন, আমি এখন স্বাধীনতা ঘোষণা করলে আমাকে ফাঁসির মঞ্চে ঝুলতে হবে।
মঙ্গলবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে যশোর টাউন হল ময়দানে বিজয় দিবস উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, মানুষের রোষের কাছে কোনো কিছু টেকানো যায় না। গণভবন সেই চিহ্ন বহন করে চলেছে। বাংলাদেশের ৭ কোটি মানুষ নয় মাস যুদ্ধ করে দেশের স্বাধীনতা এনেছে। অথচ ভারত এ বিজয় তাদের বিজয় বলে উল্লেখ করে। এ দেশের জনগণ এ ধরনের কথা কখনো মেনে নেবে না।
টুকু বলেন, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। তিনিই হচ্ছেন স্বাধীনতার ঘোষক। ৭ মার্চে শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেন নাই। তিনি সেদিন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য দরকষাকষি করেছিলেন। সৈনিকদের ক্যান্টনমেন্টে চলে যেতে বলেছিলেন। সেদিন স্লোগান উঠেছিল জয় বাংলা না জয় পাকিস্তান। ফলে জয় বাংলা স্বাধীনতার স্লোগান হতে পারে না।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। বক্তব্য দেন, যশোর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, সাবেক কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তি, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার টিএস আইয়ুব, কেশবপুর বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল হোসেন আজাদ, নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এহসানুল হক সেতু, কোতোয়ালি বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনজারুল হক খোকন, চৌগাছা বিএনপির সেক্রেটারি মাহমুদুল হাসান, মনিরামপুর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শহীদ ইকবাল প্রমুখ।