টিকটকে কিশোর-কিশোরীর প্রেম, দেখা করতে গেলে বাল্যবিয়ে

17 hours ago 5

মৌলভীবাজারে টিকটকের মাধ্যমে পরিচয় হওয়া ১৫ বছর বয়সী এক কিশোর ও কিশোরীর প্রেমকে কেন্দ্র করে বাল্যবিবাহের ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি স্বজনদের নজরে আসার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে কিশোর এবং কিশোরীকে উদ্ধার করেছে।

রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) ওই কিশোর–কিশোরীকে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। 

এর আগে, গত শনিবার রাতে ছেলের মা বাদী হয়ে জুড়ী থানায় বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনে মামলা করেন। মামলার পর ওই কিশোর–কিশোরীকে উদ্ধার করে পুলিশ। 

ছেলেটির বাড়ি মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় আর মেয়েটির বাড়ি পাশের জুড়ী উপজেলায়। ছেলেটি কুলাউড়ার একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নবম শ্রেণিতে পড়ে। মেয়েটি অষ্টম শ্রেণির পর আর লেখাপড়া করেনি। 

মামলার এজাহারে বাদী বলেন, গত শুক্রবার দুপুরের পর থেকে ছেলের সন্ধান পাচ্ছিলেন না। তার মুঠোফোনও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। ওইদিন রাতে ছেলের এক বন্ধু মুঠোফোনে তাদের জানায় তাকে সঙ্গে নিয়ে জুড়ী উপজেলা সদরের একটি রেস্তোরাঁয় মেয়েটির সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল। পরে মেয়ের স্বজনেরা সেখানে গিয়ে তাদের জোর করে বাড়ি নিয়ে যান। সেখানে ওই এলাকার ইউপি সদস্যের উদ্যোগে এক ইমাম দিয়ে ছেলে ও মেয়েকে বিয়ে দেন। মুঠোফোনে ধারণ করা এসব ঘটনার কয়েকটি ভিডিও সে ছেলের স্বজনদের কাছে পাঠায়।

শনিবার রাত ১১টার দিকে জুড়ীর জায়ফরনগর ইউনিয়নে মেয়েটির এক আত্মীয়ের বাড়িতে পুলিশের একটি দল অভিযান চালায়। সেখান থেকে ছেলে ও মেয়েকে উদ্ধার করে জুড়ী থানায় নেওয়া হয়। রাতেই ছেলের মা বাদী হয়ে মেয়ের বাবা, মা ও সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্যের নাম উল্লেখে অজ্ঞাতনামা আরও ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন ও বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনে মামলা করেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে স্থানীয় ইউপি সদস্য শরফ উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে জুড়ী থানার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই উস্তার মিয়া ইমন বলেন, এ ঘটনায় ছেলের মা বাদী হয়ে মামলা দায়েরের পর শনিবার রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই কিশোর–কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার সকালে ওই কিশোর–কিশোরীকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। আদালত তাদের জবানবন্দি গ্রহণ করে তাদের অভিভাবকের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এবং আসামিরা পলাতক। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Read Entire Article