ডিবির অভিযানকালে মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা

21 hours ago 8

শরীয়তপুরের জাজিরায় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অভিযান চলাকালে মিলন বেপারী (৫৫) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। পরিবারের দাবি ডিবি পুলিশের মারধরের শিকার হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। আর পুলিশ বলছে, আতঙ্কিত হয়ে মাটিতে পড়ে অসুস্থ হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার নাওডোবা ইউনিয়নের কালু বেপারী কান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মিলন বেপারী ওই এলাকায় মৃত আমজাদ বেপারীর ছেলে।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাতে জাজিরা পদ্মা সেতু এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালান গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক নওশের আলীসহ ৮ সদস্য। অভিযান চলাকালে মোজাম্মেল নামের এক ব্যক্তিকে গাঁজাসহ আটক করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী কালু বেপারী কান্দি এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী জামাল বেপারীর বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এসময় জামাল বেপারীর প্রতিবেশী ও মামা মিলন বেপারী আতঙ্কিত হয়ে মাটিতে পড়ে গেলে তার মৃত্যু হয়।

তবে পরিবারের অভিযোগ, ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তাকে ঘর থেকে বের করে মারধর চালানো হলে তিনি অসুস্থ হয়ে মাটিতে পড়ে যান। পরবর্তীতে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

নিহতের স্ত্রী রেনু বেগম অভিযোগ করে বলেন, ‘ডিবি পরিচয়ে রাতে বাড়িতে তল্লাশি করার পর আমার স্বামীকে মারধর করা হয়েছে। মারধর করায় তার মৃত্যু হয়েছে। আমি আমার স্বামী হত্যার বিচার চাই।’

নিহতের ছেলে আল-আমিন বলেন, ‘আমাদের সামনে আমার বাবাকে ডিবির লোকজন মারধর করেছেন। মারধর করলে তার মুখ দিয়ে রক্ত পড়ে মারা গেছেন। ডিবির লোকজন আমার বাবাকে মেরেছে।’

এ ব্যাপারে সদর হাসপাতালের আবসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) আকরাম এলাহী বলেন, গতকাল রাতে মরদেহ নিয়ে আসা হয়েছিল। ময়নাতদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ফলাফল এলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।

জানতে চাইলে জেলার গোয়েন্দা শাখার পরিদর্শক আবু বকর মাতুব্বর বলেন, ‘পদ্মা সেতু এলাকায় চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী জামাল বেপারীর বাড়িতে অভিযান চলাকালে তার মামা মিলন বেপারী খবর পেয়ে ছুটে আসার সময় আতঙ্কিত হয়ে মাটিতে পড়ে যান। পরে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে ডিবির সদস্যরা তার পরিবারকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে। আমরা তখন আসামিদের গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসি। পরে শুনতে পাই তিনি নাকি মারা গিয়েছেন। তবে ডিবির মারধরের বিষয়টি সত্য নয়।’

বিধান মজুমদার অনি/এফএ/জেআইএম

Read Entire Article