দলগুলোর মাঝে দূরত্ব তৈরি হলে ফ্যাসিবাদের পথ সুগম হবে: তারেক রহমান

2 hours ago 4

রাজনৈতিক দলগুলোর মাঝে দূরত্ব তৈরি হলে পতিত ফ্যাসিবাদের পথ সুগম হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

তিনি বলেন, নির্ধারিত সময় নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে আমাদের রাজপথের সহকর্মী যোদ্ধা, কোনো কোনো রাজনৈতিক দলের বা তাদের সদস্যদের বক্তব্য ও মন্তব্য জনগণের মনে নানা জিজ্ঞাসার জন্ম দিয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর আন্তর্জাতিক চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

তারেক রহমান বলেন, আমি গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তির সব রাজনৈতিক দলগুলো ও তাদের নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই, গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যদি দূরত্ব তৈরি হয় তাহলে রাষ্ট্র এবং রাজনীতিতে পতিত, পরাজিত এবং পলাতক ফ্যাসিস্ট চক্রের পুনর্বাসনের পথ সহজ হয়ে উঠবে। তাদের সুযোগ তৈরি হবে।

জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, হাজারো শহীদদের রক্তের বিনিময়ে ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাব্য সময় নির্ধারণ করেছে। এ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের জনগণ দীর্ঘ দেড় দশকেরও বেশি সময় পর নির্ভয়ে-নিরাপদে নিজেদের ভোট দিয়ে, নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নিজেদের পছন্দের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করবে জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে।

লিখিত বিধিমালা দিয়ে ফ্যাসিব্যাদ ঠেকানো যায় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, সংবিধান কিংবা লিখিত বিধি-বিধান দিয়ে কখনোই ফ্যাসিবাদ ঠেকানো যায় না। রাষ্ট্র এবং রাজনীতিতে যদি ফ্যাসিবাদ ঠেকাতে হয় তাহলে অবশ্যই জনগণকে রাজনৈতিকভাবে শক্তিশালী করার কোনো বিকল্প পথ নেই।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, সরাসরি ভোট দিয়ে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের অধিকার প্রয়োগের যে চর্চা, সেই চর্চার মধ্য দিয়ে রাষ্ট্র এবং রাজনীতিতে জনগণ শক্তিশালী হয়ে ওঠে। জনগণ শক্তিশালী না হলে রাষ্ট্র এবং সরকার শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে না।

নাগরিকদের রাজনৈতিক অধিকারে বাধা সৃষ্টি করলে গণতন্ত্রের উত্তরনের পথ সংকটে পড়বে উল্লেখ করে তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনায় রাষ্ট্র এবং রাজনীতিতে জনগণকে শক্তিশালী করা কিংবা প্রতিটি নাগরিকের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে নির্বাচনই হচ্ছে অন্যতম প্রধান মাধ্যম। সুতরাং নানা রকম উপায় বা শর্ত আরোপ করে জনগণের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার পথে যদি বাধা সৃষ্টি হয় তাহলে অবশ্যই গণতন্ত্রের উত্তরণের পথ সংকটে পড়বে।

অতীত নির্যাতনের কথা স্বরণ করে তিনি বলেন, আমাদের মনে রাখা দরকার স্বৈরাচারী শাসনের সময় আমরা কেউই নিরাপদে ছিলাম না। আমাদের কারো পরিবার নিরাপদে ছিল না। এ কারণে গণতন্ত্রের উত্তরণের যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে তা যদি সংকটে পড়ে, রাষ্ট্র এবং রাজনীতিতে জনগণ নিজেদের অধিকার আদায় করতে না পারে তাহলে সামগ্রিকভাবে সবাইকে, পুলো দেশকে সমস্যায় পড়তে হবে।

স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান। এ ছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, নজরুল ইসলাম খান, মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (অব.), যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু প্রমুখ।

এমএইচএ/এএমএ

Read Entire Article