বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) চলমান অবস্থা নিরসনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আবারও বৈঠকে বসেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে এবার লিখিত প্রস্তাবনা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বৈঠকের পর আন্দোলনরত পশুপালন অনুষদ ও ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে প্রস্তাবনা দেওয়া হয়।
প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো—
১. চলমান ব্যাচগুলোর জন্য লেভেলভিত্তিক পৃথক সিলেবাস প্রণয়ন করে শিক্ষার্থীদের কম্বাইন্ড ডিগ্রির আওতায় আনতে হবে, যা বিভিসি সনদ পেতে কোনো রূপ সমস্যা সৃষ্টি করবে না;
২. টেকনিক্যাল কমিটি ২০ কার্যদিবসের মধ্যে সম্পূর্ণ কম্বাইন্ড কোর্স কারিকুলামের সিলেবাস প্রণয়ন করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেবে;
৩. গত ৩১ আগস্ট রাতে ক্যাম্পাসে বহিরাগত হামলার ঘটনার দায় স্বীকার করে প্রশাসনকে ক্ষমা চাইবে হবে। ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বহিরাগতদের অবাধ বিচরণ নিয়ন্ত্রণ, প্রতিটি প্রবেশপথে নিরাপত্তা চেকপোস্টসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে;
৪. আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী কোনো শিক্ষার্থীকে একাডেমিক কিংবা প্রশাসনিক কোনো শাস্তি বা জটিলতার সম্মুখীন করা হবে না—এই মর্মে লিখিত বিবৃতি দিতে হবে;
৫. বহিরাগত হামলার ঘটনায় তদন্ত কমিটি আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে। স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় বহিরাগতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে;
৬. হামলার সঙ্গে জড়িত শিক্ষকদের শিক্ষকতার বাইরে অতিরিক্ত দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিতে হবে; এবং
৭. অতিদ্রুত হল ভ্যাকেন্সির নোটিশ প্রত্যাহার করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে একডেমিক কার্যক্রম পুনরায় চালু করতে হবে।
শিক্ষার্থীরা জানান, শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত জমা দিয়েছে। যৌক্তিক দাবি মেনে নিয়ে আন্দোলন শেষ করার সময় হয়েছে। দাবিগুলো মেনে নিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হবে বলে তাদের প্রত্যাশা।
আবু বকর সিদ্দিক নামের একজন বলেন, ‘আমরা চাই, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হোক। কারণ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকার কারণে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি হচ্ছে।’
কামরুজ্জামান মিন্টু/এসআর/এএসএম