দাম কমেছে সবজি, মুরগির, মাছের চড়া

2 months ago 6

কোরবানি ঈদের ছুটি প্রায় শেষের পথে। আগামী রোববার (১৫ জুন) থেকে কর্ম চাঞ্চল্য ফিরবে রাজধানীতে। ঈদের দীর্ঘ ছুটির প্রভাব পড়েছে কাঁচা বাজারে।

শুক্রবার (১৩ জুন) সকালে পল্লবী, মিরপুর ১২ নাম্বারসহ একাধিক বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতার উপস্থিতি কম। মাংস, চালসহ বেশিরভাগ পণ্যের অনেক দোকানই বন্ধ।

কোরবানি ঈদের পূর্বমূহুর্তে মুরগিসহ কাঁচা শাক সবজির যে দাম বেড়েছিল, সেটিও কমেছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। যা ঈদের আগে বিক্রি হয়েছে ১৯০-২০০ টাকায়।

দাম কমেছে সবজি, মুরগির, মাছের চড়া

একইভাবে কেজিতে ২০-৩০ টাকা কমে প্রতিকেজি কক মুরগি (সোনালী) বিক্রি হচ্ছে ২৫০-৩০০ টাকায়।

বাজারগুলোর বেশিরভাগ গরু ও খাসির মাংসের দোকান ছিল বন্ধ। দুই একটি দোকানে আগের মতো ৭৫০-৮০০ টাকা কেজিতে গরুর মাংস বিক্রি করতে দেখা যায়।

বিক্রেতারা বলছেন, কোরবানির পর মাংসের চাহিদা কমে যায়। এ জন্য মুরগির দাম কিছুটা কমেছে।

মিরপুর ১২ নাম্বার হাজি কুজরত আলী শপিং কমপ্লেক্সে সংলগ্ন পোল্ট্রি বাজারে কথা হয় ব্যবসায়ী শামসুদ্দিনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ঈদের আগে মুরগি বিক্রির চাপ ছিল। দামও বেশি ছিল, এখন আবার কয়েকদিন বাজার স্বাভাবিক। আগামী রোববার ও সোমবার বেচাকেনা বাড়বে।

দাম কমেছে সবজি, মুরগির, মাছের চড়া

আরেক বিক্রেতা বলেন, এখন বিয়ে বা অন্য কোন অনুষ্ঠানের জন্য মুরগি বিক্রি হচ্ছে বেশি। খুচরা ক্রেতা ঈদের আগে কিনে রেখেছেন, এজন্য দাম কম হলেও বিক্রি নেই।

বাজারে প্রতি ডজন ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৪৫ টাকায়। আগের মতোই চড়া মাছের দাম।

বাজারে প্রতিকেজি গলদা চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ১৪০০-১৫০০ টাকায়। মাঝারি আকারের বাগদা চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকায়। কেজি প্রতি রুই, কাতল ৩৫০-৩৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে, প্রতিকেজি কই ২৫০-৪০০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০-২৪০ টাকা, পাঙাশ ২০০-২৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

চাল, আলু, ডাল, তেল প্রভৃতি আগের দামেই বিক্রি হতে দেখা গেছে। ডায়মন্ড, মঞ্জুর, সাগরসহ অধিকাংশ মিনিকেট চাল প্রতি কেজি ৭২-৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৮৯ টাকায়। প্রতি কেজি আলু ২০-২২ টাকা ও পেঁয়াজ ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

দাম কমেছে সবজি, মুরগির, মাছের চড়া

ঈদের ছুটিতে অনেক সবজির দাম কমেছে বলে বিক্রেতারা জানিয়েছেন। ঝিঙা, বরবটি, ঢ্যাঁড়স, কাকরোল, করলা, বেগুন প্রভৃতি সবজি ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৪০-৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে পেঁপে, পটোল, চিচিঙা, ধুন্দল, লতির মতো সবজি। আকারভেদে প্রতি পিস লাউ ও জালি কুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৪০-৬০ টাকায়।

ঈদের আগের রাতে হঠাৎ করেই বেড়ে যায় সালাদ বানানোর বিভিন্ন পণ্যের দাম। শসা, লেবু, কাঁচা মরিচ, টমেটো, গাজরের দাম বেড়ে যায়।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়। প্রতি কেজি শসা ও কাঁচা মরিচ ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। অন্যদিকে শীতকালীন সবজি প্রতি কেজি টমেটো আগের মতই ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এসএম/এসএনআর/জিকেএস

Read Entire Article