রাজধানীর বাড্ডায় সাতারকুলের ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সুন্নতে খতনা করতে গিয়ে শিশু আয়ান আহমেদের মৃত্যুর ঘটনায় দুই চিকিৎসক ও হাসপাতালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে আয়ানের মা-বাবাকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। দেশের সব অনুমোদনহীন হাসপাতাল, ক্লিনিক বন্ধ করতেও সুপারিশ করেছে কমিটি।
একই সঙ্গে, দেশের স্বাস্থ্য খাতে জিডিপির ৫ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া ও সেটি যথাযথভাবে ব্যবহার করার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।
ইউনাইটেড হাসপাতালে নিহত আয়ানের মৃত্যু পরবর্তী আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন হাইকোর্টে এসেছে। রোববার (২৬ জানুয়ারি) হাইকোর্টে এ প্রতিবেদনের ওপর বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে শুনানি হতে পারে।
তদন্ত কমিটি তাদের সুপারিশে উল্লেখ করেছে, শিশু আয়ানের মৃত্যুর জন্য দায়ী হওয়ায় ক্ষতিপূরণ দিতে হবে ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে। ক্ষতিপূরণের একটি অংশ পাবে আয়ানের বাবা-মা। বাকি অংশ দিয়ে অসহায় শিশু ও কিশোর/কিশোরীদের জন্য একটি হাসপাতাল নির্মাণ করতে সুপারিশ করেছেন কমিটির সদস্যরা। এছাড়া অনুমোদনহীন চিকিৎসা কর্মকাণ্ড পরিচালনার দায়ে হাসপাতালটির বিরুদ্ধে এবং শিশু আয়ানের চিকিৎসা প্রক্রিয়ায় জড়িত চিকিৎসক তাসনুভা মাহজাবীন ও অ্যানেস্থেসিওলজিস্ট সৈয়দ সাব্বির আহম্মদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি।
এর পাশাপাশি চিকিৎসা সংক্রান্ত লিখিত সম্মতিপত্রটি বাংলায় বড় বড় অক্ষরে স্পষ্ট ও বোধগম্যভাবে লিখার সুপারিশ করা হয়েছে। যাতে রোগীর বাবা-মা বা অভিভাবকেরা সেটি সহজে পড়তে পারেন এবং চিকিৎসা ও তার পরবর্তী ফলাফল সম্পর্কে বুঝে সম্মতিপত্রে স্বাক্ষর করতে পারেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়া যেসব হাসপাতাল ও ক্লিনিক চিকিৎসা কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে, সেগুলো খুঁজে বের করে অবিলম্বে সেখানে চিকিৎসা কর্মকাণ্ড বন্ধ এবং সেসব হাসপাতালের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি।
এফএইচ/এএমএ/জেআইএম