দেশ ও গণতন্ত্রের স্বার্থে ঐক্য ভাঙা যাবে না: দুদু

3 hours ago 5

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, ‘দেশ ও গণতন্ত্রের স্বার্থে বিএনপিসহ যারা নির্বাচনে অংশ নেবে, তাদের সতর্ক ও সজাগ থাকতে হবে। ঐক্য ভাঙা যাবে না। এই (আওয়ামী লীগ) জালিম ও লুটেরা শক্তিদের কোনোভাবেই সুযোগ দেওয়া যাবে না। তাহলে দেশের অস্তিত্ব ও স্বাধীনতা বিপন্ন হবে। এজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক নাগরিক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় নির্বাচনে লেভেল প্লেইং ফিল্ড এবং প্রশাসনে ঘাপটিমারা আওয়ামী লীগের দোসরদের গ্রেফতারের দাবিতে এই সমাবেশের আয়োজন করে বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলন।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, একটি কথা আমাদের সবাইকে মনে রাখতে হবে, গণহত্যাকারীরা পালিয়ে গেছে। ব্যাংক, বীমা, বাংলাদেশের যা কিছু অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান ছিল, সেগুলোকে ধ্বংস করে চূড়ান্তভাবে লুটপাট করে নিয়ে গেছে। এর মানে তারা আমাদের পঙ্গু করার চেষ্টা করেছে; বাংলাদেশকে ধ্বংস করার চেষ্টা করেছে। তারা একেবারে চলে গেছে—এটি যদি আমরা সত্যি ধরে নেই, তাহলে সেটাও ভুল হবে।

তিনি বলেন , নির্বাচনের দাবি তো এদেশের মানুষই করে—কৃষক, শ্রমিক, খেটে খাওয়া মানুষের মতো বিভিন্ন পেশার মানুষ তাদের অধিকার চায় এবং ভোট দিতে চায়। বিএনপি, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান গত ১৬ বছর ধরে মানুষের সঙ্গে থেকে রাস্তায় আন্দোলন করেছেন। আমাদের নেত্রীকে মিথ্যা মামলায় ১০ বছর সাজা দেওয়া হয়েছিল। তিনি দীর্ঘদিন (প্রায় ছয় বছর) আটকাবস্থায় ছিলেন এবং পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবা সরবরাহ করা হয়নি। আমাদের নেতা তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কেবল মামলা করা হয়নি—বিচারের নামে তাকে যাবজ্জীবন শাস্তির মতো আচরণ করা হয়েছে। অনেকেই বিশ্বাস করে না যে তিনি দেশে ফিরলে নিরাপদ থাকবেন; তাই তিনি সময় নিচ্ছেন এবং দলও প্রস্তুতি নিচ্ছে।

ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, আগামী দিনে যদি আমরা প্রস্তুত না থাকি, আমাদের বিপদ আসতে পারে। আমাদের দেশ, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে। এমন একটি দলকে আগামী দিনে ক্ষমতায় আনতে হবে যারা পরীক্ষিত এবং মানুষের কথায় বিশ্বাস করে, যারা কথা দিলে তা রক্ষা করে। আগামী দিনে শপথবদ্ধ হতে হবে যে ফ্যাসিস্টরা, যারা হত্যাকারী তারা যেন কখনো ফেরত আসতে না পারে; সেটাই আমাদের লক্ষ্য হবে।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান দুদু আরও বলেন, চলুন আমরা সুশৃঙ্খল, স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবাই ঐক্যবদ্ধ হই। যারা আগের তিনটি নির্বাচনে অংশ নিয়ে লুটপাট করেছে বা অন্যায় করেছে—এসব লোক যেন প্রশাসনে আর স্থান না পায়। সরকার ইতিমধ্যে বলেছে অতীতে যারা এই আচরণ করেছে, তারা ভবিষ্যতে থাকবে না। কিন্তু সরকারকে কথাটি রাখতে হবে।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি এম জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে নাগরিক সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো. রহমতুল্লাহ, শাহা নেচারুল হক, কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহা আব্দুল্লাহ আল বাকি, পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রাজি, কৃষক দল নেতা শফিকুল ইসলাম সবুজ, রমিজ উদ্দিন রুমি, রবিউল ইসলাম তালুকদার রবি, আমির হোসেন দানেজ, মো. মুসা ফরাজী প্রমুখ।

কেএইচ/এমএমকে/জিকেএস

Read Entire Article