নদীর পাড় কেটে মাটি বিক্রি, ঝুঁকিতে বাঁধ

2 months ago 25

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় হাওড়া নদীর পাড় কেটে মাটি বিক্রি করছে স্থানীয় একটি চক্র। এর ফলে হুমকির মুখে পড়েছে নদী রক্ষা বাঁধ। উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের আদমপুর এলাকায় নদীর পাড়, তীর কেটে অবৈধভাবে মাটি বিক্রি করছে চক্রটি।

রোববার (২৫ মে) সরেজমিনে দেখা যায়, নদীর দুই পাড় থেকে ভেকু দিয়ে মাটি কাটা হচ্ছে। প্রভাবশালী চক্রটি সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খাস জমির পাশাপাশি নদীর বাঁধ ও নদী তীরের মাটি কেটে উপজেলার বিভিন্ন জায়গার পুকুর, ডোবা, নালা ও ফসলি জমি ভরাট করছেন।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এ মাটি কাটা চক্রটির অনেক সদস্য রয়েছে। তাদের মধ্যে আদমপুর এলাকায় মাটি কাটছেন খলাপাড়া গ্রামের শহীদ ও আওড়ারচর এলাকার জহির।

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক আদমপুর, খলাপাড়া গ্রামের কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এই এলাকায় মাটি কাটার চক্রটি দীর্ঘদিন থেকে নদীর পাড়, ফসলি জমি, নদীর চর থেকে মাটি কাটছেন। তবে ৫ আগস্ট পটপরিবর্তনের পর তারা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। কেউ বাধা দিলে পতিত সরকারের দোসর বলে মামলা হামলার ভয় দেখায়। এ কারণে কেউ কথা বলতে সাহস করে না। গত বছর নদীর বাঁধ ভেঙে গ্রামসহ বহু এলাকায় পানি উঠে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। এবারও ভয়ে আছি যেভাবে মাটি কাটছে একটু ঢলেই ভাঙতে পারে নদীর বাঁধ।

আদমপুর এলাকায় হাওড়া নদীর পাড় কাটার স্থানে গিয়ে কথা হয় মাটি কাটা চক্রের সদস্য জহিরের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমি মাটি কিনেছি। নদীর পাড় কার কাছ থেকে কিনছেন এ প্রশ্নে তিনি কোনো উত্তর দেননি।

অপর অভিযুক্ত শহীদের ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও সেটি রিসিভ হয়নি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনজুর রহমান বলেন, আমি বিষয়টি আখাউড়ার ইউএনওকে অবগত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলব।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ফয়সল উদ্দিন কালবেলাকে বলেন, আমি এখনি লোক পাঠাচ্ছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Read Entire Article