নারায়ণগঞ্জে কিশোর গ্যাংয়ের নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ‘কিশোর গ্যাং নেতা’ নাহিয়ান আজম ইভান (২৫) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ইসদাইর এলাকায় ওসমানী স্টেডিয়ামের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
আজম ইভান ফতুল্লার ইসদাইর সুগন্ধা আবাসিক এলাকার আজম বাবুর ছেলে। তিনি আজমেরী ওসমানের ঘনিষ্ঠ ক্যাডার হিসেবে এলাকায় পরিচিত।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইভানের বিরুদ্ধে হত্যা, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে। কিশোর গ্যাং নেতা হিসেবে এলাকায় তার ব্যাপক পরিচিতি ছিল। সর্বশেষ কয়েকদিন আগে রাজধানীর গুলিস্তানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের মিছিল করার অভিযোগে পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় আসামি করা হয় আজম ইভনাকে।
স্থানীয়রা জানায়, মাদক ব্যবসাসহ নানা বিষয়ে ইভানের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল ইসদাইর রেললাইন বস্তির পাগলা সাইফুল, তার ভাই বাবু ও সফিকুল ইসলামের। তার জেরে তাদের মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষ হয়েছে। এক মাস আগে ‘চোর’ আখ্যা দিয়ে ইভান পাগলা সাইফুল ও তার সহযোগীদের মারধর করেন। ওই ঘটনার প্রতিশোধ নিতে সুযোগ খুঁজছিল পাগলা সাইফুল গ্রুপ।
ইভানের বড় ভাই রাফিন জানায়, রাত সাড়ে ৮টার দিকে ইভান মোটরসাইকেলযোগে বাসায় ফিরছিল। তখন স্টেডিয়াম এলাকায় তার পথরোধ করে একই এলাকার সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ শফিকুল, সাইফুল ও বাবুসহ ৮-১০ জন মিলে তাকে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীয় শরীফ নামে একজন তাকে প্রথমে নারায়ণগঞ্জ শহরের খানপুর হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত ১১টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের বাবা আজম বাবু বলেন, আমার ছেলেকে যারা হত্যা করেছে, আমি তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি চাই।
জানা গেছে, ২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর ইয়াবাসহ আজম ইভানকে গ্রেপ্তার করে ফতুল্লা থানা পুলিশ। ২০২২ সালের ১১ মার্চ ৮ সহযোগী ও দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হয় ইভান। পরে জামিনে বের হলে একই বছরের ১৯ মে আবার তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ২০২৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর ৫ সহযোগীসহ ইভানকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি শরীফুল ইসলাম বলেন, নিহতের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় মামলা প্রত্রিয়াধীন রয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।