চোখের জল আর ভালোবাসায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ছাত্রদল নেতা জোবায়েদকে চির বিদায় জানালেন শিক্ষক, সহপাঠী, রাজনৈতিক সহকর্মী, বন্ধু, আত্মীয় ও স্থানীয়রা।
সোমবার (২০ অক্টোবর) মাগরিবের নামাজের পর কুমিল্লার হোমনা কলাগাছিয়া এম এ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দ্বিতীয় জানাজা হয়। পরে রাত ৮টায় উপজেলার আসাদপুর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এর আগে তার প্রিয় শিক্ষাঙ্গণ জবি ক্যাম্পাসে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন
ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হত্যার রহস্যের জট খুলেছে পুলিশ
জোবায়েদ হত্যা: অভিযুক্ত মাহিরকে থানায় দিলেন মা
প্রেমঘটিত কারণেই জবি ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ খুন
জোবায়েদের ফুপু নাছিমা আক্তার বলেন, তার বড় ভাই মোবারক হোসেনের চার ছেলের মধ্যে জোবায়েদ ছিলেন দ্বিতীয়। জোবায়েদের বড় ভাই এনায়েত হোসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে, তৃতীয় ভাই সাইমন হোসেন ঢাকার একটি কলেজে দ্বাদশ শ্রেণিতে ও চতুর্থ ভাই মুশফিকুর রহমান নোয়াখালীর সুবর্ণচরে একটি মাদরাসায় লেখাপড়া করছে। জুবায়েদ হাসান মেধাবী ও ভালো চরিত্রের ছেলে ছিল। তার চার চাচা, পাঁচ ফুপুর পরিবারের সদস্যদের বাইরেও প্রতিবেশীদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক ছিল। তারা কোনোভাবেই জোবায়েদকে ভুলতে পারছেন না। এই হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও জবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জুবায়েদ হোসেন রোববার বিকেলে আরমানিটোলার পানির পাম্প গলির নূর বক্স লেনের রওশন ভিলার একটি বাসায় টিউশনি করতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে খুন হন। সোমবার মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
জাহিদ পাটোয়ারী/এফএ/জিকেএস