তেলাপোকা মারতে বাসায় আগুন ধরিয়েছিলেন এক তরুণী। কিন্তু দুর্ঘটনাক্রমে আগুন লেগে যায় পুরো বাসায়। ধোঁয়ায় ছেয়ে যায় আশপাশের অ্যাপার্টমেন্টগুলোও। এসময় পালানোর চেষ্টা করতে গিয়ে পাঁচতলা থেকে পড়ে প্রাণ গেলো প্রতিবেশীর। সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ার ওসান শহরে ঘটেছে এই ঘটনা।
পুলিশের বরাতে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, অভিযুক্ত তরুণীকে গ্রেফতারের জন্য অনুমতি চাওয়া হবে।
জানা যায়, নিহত নারী একজন চীনা নাগরিক। ঘটনার সময় তিনি তার স্বামী ও দুই মাসের শিশুর সঙ্গে পাঁচতলা ভবনের পঞ্চম তলায় ছিলেন। আগুন লাগার পরে তারা জানালা দিয়ে সাহায্য চেয়েছিলেন। শিশুটিকে পাশের ভবনের প্রতিবেশীর কাছে নিরাপদে পাঠানো সম্ভব হয়। স্বামী কোনোমতে লাফ দিয়ে পাশের ভবনে পৌঁছান। স্ত্রীও একই চেষ্টা করছিলেন, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত নিচে পড়ে যান। তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে মৃত ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন>>
সীমান্তে ‘ভূতের শব্দ’ বাজিয়ে ভয় দেখাচ্ছে থাইল্যান্ড, অভিযোগ কম্বোডিয়ার
‘আমার চুল গায়েব করে দিয়েছে’: টাইম ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদ নিয়ে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প
স্ত্রীর চিৎকারে ভেবেছিলেন ভালুক, পরে শোনেন নোবেল জিতেছেন
আগুনের কারণে আরও আটজন বাসিন্দা ধোঁয়ায় আহত হয়েছেন। ভবনের প্রথম তলায় বাণিজ্যিক দোকান এবং দ্বিতীয় থেকে পঞ্চম তলায় ৩২টি আবাসিক ইউনিট রয়েছে।
ওসান পুলিশ জানায়, আগুন লাগার মূল কারণ তরুণীর তেলাপোকা মারার চেষ্টা। তিনি লাইটার ও জ্বালনীয় স্প্রে ব্যবহার করেছিলেন। পুলিশ তাকে ‘দুর্ঘটনাজনিত আগুন এবং অবহেলাজনিত মৃত্যু’ মামলায় দায়ী করতে পারে।
পুলিশের বরাতে জানা যায়, আগুন লাগার সময় সিঁড়ি দিয়ে বের হওয়া সম্ভব হয়নি। তাই বাসিন্দারা জানালা দিয়ে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন।
দক্ষিণ কোরিয়ায় ব্লো-টর্চ বা হোমমেড ফ্লেমথ্রোয়ার ব্যবহার করে তেলাপোকা মারার ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ২০১৮ সালে অস্ট্রেলিয়ায় এমন একটি চেষ্টা থেকে রান্নাঘরে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিলেন এক ব্যক্তি।
সূত্র: বিবিসি
কেএএ/