নুরাল পাগলার মরদেহ উত্তোলনের নির্দেশদাতা গ্রেপ্তার

6 hours ago 2

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরাল পাগলার মরদেহ কবর থেকে উত্তোলনের নির্দেশদাতাসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মো. শরীফ আল রাজীব বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

গ্রেপ্তার দুজন হলেন— মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বড় ঠাকুরকান্দি গ্রামের মাওলানা বাহাউদ্দীনের ছেলে মো. আ. লতিফ (৩৫) ও গোয়ালন্দ পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চৌধুরী পাড়া এলাকার বিল্লাল মন্ডলের ছেলে অভি মন্ডল রঞ্জু (২৯)। তিনি গোয়ালন্দের স্থানীয় একটি মসজিদের ইমামতি করতেন। 

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শরীফ আল রাজীব বলেন, গোয়ালন্দের নুরাল পাগলার আস্তানায় বিক্ষুব্ধ জনতার হামলায় তার ভক্ত রাসেল মোল্লা নিহত হওয়ার ঘটনায় তার বাবা আজাদ মোল্লা বাদী হয়ে অজ্ঞাত চার হাজারজনকে আসামি করে মামলা করেছেন। পুলিশ লতিফ হুজুর ও অভি মন্ডল রঞ্জু নামের দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার লতিফ হুজুরকে গোয়েন্দা পুলিশ আজ ভোরে মানিকগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করেছে। নুরাল পাগলার মরদেহ কবর থেকে উত্তোলনে সরাসরি নির্দেশদাতা ছিলেন এ লতিফ হুজুর। 

তিনি আরও বলেন, এর আগে গ্রেপ্তার হওয়া অপু কাজীর আদালতে দেওয়া ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে এ লতিফ হুজুরের বিষয় তথ্য পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ভিডিও ফুটেজ দেখে লতিফ হুজুরের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে।

উল্লেখ্য, গত ৫ সেপ্টেম্বর জুমার নামাজের পর রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে নুরাল পাগলার আস্তানায় অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর চালায় বিক্ষুব্ধ জনতা। এ সময় নুরাল পাগলার ভক্তদের সঙ্গে সংঘর্ষে রাসেল মোল্লা নামের এক যুবক নিহত হয় এবং দুপক্ষের শতাধিক মানুষ আহত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুর করে বিক্ষুব্ধ জনতা। এতে ১০/১২ জন পুলিশ সদস্য আহত হন। 

পরে নুরাল পাগলার মরদেহ কবর থেকে তুলে পুড়িয়ে দেন হামলাকারীরা। ওইদিন রাতে পুলিশের সরকারি কাজে বাধা, পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় গোয়ালন্দ ঘাট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সেলিম মোল্লা বাদী হয়ে ৩ হাজার থেকে সাড়ে ৩ হাজার অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেন। মামলায় পুলিশ এখন পর্যন্ত ১৮ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। তারমধ্যে দুজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন।

Read Entire Article