পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে আলোচনা চালু থাকবে: সালাহউদ্দিন

5 hours ago 5

রাজনীতির মাঠে তর্ক-বিতর্ক থাকবে, ভিন্নমত থাকবে। এরপরও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার মধ্য দিয়ে আলাপ-আলোচনার সংস্কৃতি চালু থাকবে। এটাই রাজনৈতিক সংস্কৃতি। এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।

সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) গুলশানে বিএনপির কার্যালয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষীতে দলটির প্রতি শুভেচ্ছা জানাতে ও সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে যান জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতারা।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, বিএনপি গঠনের উদ্দেশ্য ছিল একদলীয় বাকশাল বিলুপ্ত করে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তন করা। বিএনপির বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের ধারণা এই ভূখণ্ডে বসবাস করা জনগণকে একত্রিত করেছিল। গণঅভ্যুত্থানে শহীদের প্রত্যাশা অনেক। তাদের প্রত্যাশার মধ্যে একটি হচ্ছে আমরা যেন গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক চর্চা করি, লালন করি।

আরও পড়ুন

তিনি বলেন, আমাদের তরুণ বন্ধুরা নাগরিক পার্টি সৃষ্টি করেছে। তারা আজ প্রমাণ করলো আমরা রাজনীতির মাঠে তর্ক-বিতর্ক করবো, ভিন্নমত প্রকাশ করবো। কিন্তু সৌহার্দ্যমূলক আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে। পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে আলোচনা চালু থাকবে- এটাই রাজনৈতিক সংস্কৃতি। এই বিশাল পরিবর্তন আমাদের অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে। এই গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি চালুর মাধ্যমে বিগত দিনের অগণতান্ত্রিক, অপসংস্কৃতিকে বিলুপ্ত করতে পারবো।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ভালো রাজনৈতিক আদর্শ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ফ্যাসিবাদী রাজনীতিকে বিলুপ্ত করতে পারবো।

এ সময় এনসিপির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম বলেন, আমরা বিশ্বাস করি বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদকে ধারণ করে দেশ ও দেশের জনগণকে প্রাধান্য দিয়ে বিএনপি কাজ করে যাবে। আমরা মনে করি, শেখ হাসিনা শুধু গণতন্ত্র নষ্ট করেননি, গণতান্ত্রিক যে সংস্কৃতি, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক হতে পারে, সেই সংস্কৃতিও শেষ করে দিয়ে গেছেন।

তিনি বলেন, যে কোনো রাজনৈতিক দলের কোনো বিষয়ে আমাদের দ্বিমত থাকতে পারে, তার পক্ষে-বিপক্ষে কঠোর সমালোচনাও থাকতে পারে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক ছাড়া আমরা যে বাংলাদেশের কথা বলি, সেটি সম্ভব নয়। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও রাজনৈতিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। একসঙ্গে আমরা কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ গড়ার পথে সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে সামনের দিকে এগিয়ে যাবো।

কেএইচ/এএমএ

Read Entire Article