পরমাণু যুদ্ধের দামামা বেজে উঠেছে। মার্কিন অস্ত্র দিয়ে রাশিয়ায় হামলা চালাতে ইউক্রেনকে অনুমতি দেওয়ার পর ক্ষিপ্ত হয়ে গেছে মস্কো। এমন পরিস্থিতিতে নিজের পরমাণু নীতিতেও পরিবর্তন এনেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রাশিয়া তাদের পরমাণু নীতিতে পরিবর্তন আনায় আতঙ্কে ভুগছেন ইউরোপের নেতারা।
বিশেষ ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায়, ইউক্রেন থেকে যুক্তরাষ্ট্র মুখ ফিরিয়ে নেবে এমন শঙ্কা তৈরি হয়েছে। তাতে বিপদে পড়বে যুক্তরাষ্ট্রের ইউরোপীয় মিত্ররা। এতে করে পুতিনের ক্ষোভের আগুনে পুড়তে পারে অনেকে। আর তাই পুতিনকে থামাতে এবার চীনের দ্বারস্থ হয়েছে ফ্রান্স। দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ বলছেন, পরমাণু উত্তেজনা প্রশমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে চীনের।
ব্রাজিলের রিও ডি জেনেইরোতে জি-২০ সামিটে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় ম্যাখোঁর। সেখানেই ম্যাখোঁ জিনপিংয়ের কাছে আহ্বান জানান, তিনি যেন ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তি টানতে পুতিনের ওপর চাপ প্রয়োগ করেন। পাশাপাশি পরমাণু নীতি পরিবর্তনসংক্রান্ত পুতিনের সিদ্ধান্ত বদলাতেও চীনের সাহায্য চেয়েছেন ম্যাখোঁ।
ক্ষমতার একেবারে শেষবেলায় এসে, যুক্তরাষ্ট্রের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়ায় হামলার অনুমতি দেন জো বাইডেন। এরপরই মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলা চালায় ইউক্রেন। প্রতিক্রিয়ায় নিজেদের পরমাণু নীতিতে পরিবর্তন এনে এক ডিক্রিতে সই করেন পুতিন। এতেই নড়েচড়ে বসেছে বিশ্ব।