সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া সহজ করতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়কে আকারে ছোট করা যুক্তিসঙ্গত মনে করে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। মুখ্য সচিব প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে নয়, বরং একাধিক বিভাগের সমন্বয়ের জন্য থাকা উচিত বলে জানিয়েছে কমিশন।
কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। এর আগে গত ৫ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর সুপারিশের নির্বাহী সারসংক্ষেপ প্রকাশ করা হয়েছিল।
পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বিভিন্ন দেশে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগই প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয় হিসেবে কাজ করে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মন্ত্রিপরিষদকে সাচিবিক সহায়তা প্রদান করেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আলাদাভাবে মুখ্য সচিব (প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি) পদ থাকায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও প্রিন্সিপাল সেক্রেটারির মধ্যে ঐকমত্য ও সমন্বয়ের অভাবে কখনো কখনো সিদ্ধান্তগ্রহণ প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়কে আকারে ছোট করা যুক্তসঙ্গত হবে বলে কমিশন মনে করে।
আরও বলা হয়, অপরদিকে, মন্ত্রণালয়গুলোর সংখ্যা কমানো হলে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে একাধিক বিভাগ সংযুক্ত হবে। ফলে একই মন্ত্রীর অধীনে একাধিক বিভাগের সম্বয়ের জন্য একটি করে মুখ্য সচিব পদ সৃষ্টি করা যাবে।
বর্তমান ‘সিনিয়র সচিব’ পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের এ পদে পদায়ন করা যেতে পারে। ভারতসহ বিভিন্ন দেশে এরূপ নিয়ম রয়েছে। বর্তমান ‘সিনিয়র সচিব’ নামকরণ বাদ দেওয়া যেতে পারে। কারণ, এতে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছে। আবার মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি ও সচিব পদের কোনো বেতন গ্রেড বা স্কেল থাকবে না। সরকার তাদের বেতন-ভাতা ও সুবিধাদি নির্ধারণ করবেন বলেও প্রতিবেদনে জানিয়েছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন।
আরএমএম/জেএইচ/জেআইএম