প্রাথমিক শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন অধিদপ্তরের ডিজি

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা তিন দফা দাবি আদায়ে টানা কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করছেন। বুধবার (২১ মে) থেকে তারা অর্ধদিবস কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন। এতে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে।

পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের ছয়টি সংগঠনের মোর্চা ‘প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদ’ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) আবু নূর মো. শামসুজ্জামান।

মঙ্গলবার (২০ মে) বিকেল ৪টায় রাজধানীর মিরপুরে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সম্মেলনকক্ষে এ বৈঠক শুরু হয়েছে। অধিদপ্তরের পলিসি অ্যান্ড অপারেশন বিভাগের সহকারী পরিচালক (চলতি দায়িত্বে) মাহফুজা খাতুনের সই করা এক নোটিশে এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে দুপুরে বৈঠকের আমন্ত্রণ পেয়েছেন বলে জানান প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের নেতা মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ। জাগো নিউজকে তিনি বলেন, বৈঠকের আমন্ত্রণ পেয়েছি। আজ (মঙ্গলবার) বিকেল ৪টায় আমরা ডিজির সঙ্গে বসব। আমাদের ছয়টি সংগঠনের ৩০ জন প্রতিনিধি বৈঠকে অংশ নেবেন। তবে পূর্ব ঘোষিত কর্মবিরতির কর্মসূচি চলমান থাকবে।

• আরও পড়ুন
• এবার প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের অর্ধদিবস কর্মবিরতির ডাক
• দুইদিন অর্ধদিবস কর্মবিরতির ঘোষণা বিচার বিভাগীয় কর্মচারীদের

জানা যায়, গত ৫ মে থেকে ১১তম গ্রেডে বেতনসহ তিন দফা দাবিতে সারাদেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা টানা কর্মবিরতি কর্মসূচি করছেন। শুরুতে তারা প্রতি কর্মদিবসে এক ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেন। এরপর ১৭ মে থেকে দুই ঘণ্টার কর্মবিরতি করেছেন। বুধবার (২১ মে) থেকে অর্ধদিবস কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন সহকারী শিক্ষকরা।

সহকারী শিক্ষকদের তিন দফা দাবি

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের দশম গ্রেড বাস্তবায়নে সম্প্রতি ঢাকায় কয়েক দফা সমাবেশ করেছেন প্রাথমিকের শিক্ষকরা। তবে অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত কনসালটেশন কমিটি সহকারী শিক্ষক পদকে এন্ট্রি পদ ধরে ১২তম গ্রেড বাস্তবায়নের সুপারিশ করেছে। তবে তা সংস্কার করে এবার ১১তম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে আন্দোলনে নামছেন তারা।

তাদের উত্থাপিত তিন দফা দাবি হলো-

১. সরকারের গঠিত কনসালটেশন কমিটির সুপারিশের যৌক্তিক সংস্কার করে সহকারী শিক্ষক পদকে এন্ট্রি পদ ধরে ১১তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ।

২. ১০ বছর ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির জটিলতা নিরসন।

৩. প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ পদোন্নতিসহ দ্রুত পদোন্নতি প্রদান।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্যমতে, বর্তমানে দেশে ৬৫ হাজারের বেশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পৌনে ৪ লাখেরও বেশি শিক্ষক কর্মরত। তাদের মধ্যে প্রধান শিক্ষকদের বর্তমান বেতন গ্রেড ১১তম। আর সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড ১৩তম।

এএএইচ/এএমএ/জিকেএস