আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দল এক যুগ ধরে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে আসছে। এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে অংশ নেয় আর হারের বোঝা নিয়ে মিশন শেষ করে। কখনো চূড়ান্ত পর্বে ওঠা তো দূরের কথা, এর আগে ম্যাচই জিতেছে মাত্র একটা। তাও ২০২০ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। বাহরাইনে হওয়া সেই বাছাইয়ে বাংলাদেশ তিন ম্যাচের একটি জিতেছিল ২-০ গোলে।
এরপর ২০২২, ২০২৪ সালে অংশ নিয়ে জয়ের মুখ দেখেনি বাংলাদেশ। হেরেছে সব ম্যাচ। এবার ভিয়েতনামে অনুষ্ঠিত বাছাইয়ের প্রথম দুই ম্যাচ হারের পর শেষ ম্যাচ ঠিকই জিতেছে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে। জয়টাও বেশ বড়। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দল জিতেছে ৪-১ ব্যবধানে।
এ ম্যাচে প্রথম গোলটি করেছেন ইতালি প্রবাসী ফাহামিদুল ইসলাম। ৭০ মিনিটে লিড এনে দেন তিনি। দুই মিনিট পর আল-আমিন ব্যবধান ২-০ করেন। ৮০ মিনিটে বাংলাদেশের তৃতীয় গোল করেন মহসিন এবং দুই মিনিট পর ৪-০ করেন মোরসালিন। ইনজুরি সময়ে সিঙ্গাপুর গোল করে ব্যবধান ৪-১ করে।
এই আসরে প্রথম ম্যাচে ভিয়েতনামের কাছে ২-০ ও ইয়েমেনের কাছে ১-০ গোলে হেরে চূড়ান্ত পর্বে ওঠার স্বপ্ন শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের। আনুষ্ঠানিকতার ম্যাচে বড় জয় নিয়েই মিশন শেষ করলো লাল-সবুজ জার্সিধারী যুবারা।
ফাহামিদুলের জাতীয় দলে অভিষেক হয়েছিল জুনে ঢাকায় ভুটানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। তারপর সিঙ্গাপুরের বিপক্ষেও খেলেছেন তিনি। ভিয়েতনামে প্রথম ম্যাচ খেলেননি। দ্বিতীয় ম্যাচ খেললেও তার পারফরম্যান্স সন্তোষজনক ছিল না। উল্টো আরচরণগত কারণে সমালোচিত হয়েছিলেন।
এ ম্যাচে শুরুর একাদশে ছিলেন না ফাহামিদুল। বদলি হিসেবে নেমে দলকে লিড এনে দেন এই ইতালি প্রবাসী। ইংল্যান্ড প্রবাসী কিউবা মিচেলকেও বদলি হিসেবে দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামিয়েছিলেন কোচ। আগের দুই ম্যাচে তিনি ভক্তদের আশা পূরণ করতে পারেননি।
এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ বাছাইয়ে এটি ছিল বাংলাদেশের ২১তম ম্যাচ। আগের ২০টিতে মাত্র একটি জয় ও একটি ড্র ছিল। হেরেছিল ১৮টি। জিতেছিল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে (২-০) এবং ড্র করেছিল ২০১৬ সালের বাছাইয়ে ভারতের বিপক্ষে (০-০)।
আরআই/এমএমআর/এমএস