ফেনীতে জেলা প্রশাসক ( ডিসি) গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের একটি ম্যাচে দর্শকদের হামলায় খেলোয়াড়সহ অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। এ সময় উত্তেজিত জনতা বেশ কয়েকটি বাস ভাঙচুর করেন। এ ঘটনায় টুর্নামেন্টটির সেমিফাইনাল স্থগিত ঘোষণা করেছে প্রশাসন।
বুধবার ( ২২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ফেনী শহরের একাডেমি এলাকায় ভাষাশহীদ আবদুস সালাম স্টেডিয়ামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেলে সোনাগাজী উপজেলা দল ও ফুলগাজী উপজেলার খেলা ছিল। সোনাগাজী উপজেলা দল ৪-২ গোলে জয়লাভ করে। খেলা শেষে সোনাগাজীর দর্শকেরা হুড়োহুড়ি করে মাঠে প্রবেশ করেন। এ সময় বৃহস্পতিবারের ম্যাচের প্রস্তুতির জন্য ফেনী সদর উপজেলা দলের খেলোয়াড়রাও মাঠে ঢোকেন। একপর্যায়ে সদরের খেলোয়াড়দের সঙ্গে সোনাগাজীর দর্শকদের হাতাহাতি শুরু হয়। এর পর পরই উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের সময় বিক্ষুব্ধ জনতা সোনাগাজী উপজেলা দলের খেলোয়াড়দের বহনকারী যাত্রীবাহী কয়েকটি বাসের কাচ ভাঙচুর করে। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
হামলায় ফেনী সদর উপজেলা দলের খেলোয়াড় নিশাতসহ আরও ১২ জন আহত হন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে হামিম, রকি, আরমান, জুবায়ের, আরিফ, আবদুল্লাহর নাম জানা গেছে। তারা সোনাগাজী উপজেলার বাসিন্দা। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিগেন চাকমা জানান, এ ঘটনায় হামিম নামের এক দর্শক গুরুতর আহত হয়ে সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা নিচ্ছেন। তার মাথায় চারটি সেলাই দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সোনাগাজী থেকে আসা যাত্রীবাহী কয়েকটি বাস ভাঙচুর করা হয়। এর মধ্যে একটি বাস বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ফেনীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ইসমাঈল হোসেন জানান, ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত, এ বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবারের ফেনী সদর উপজেলা দল ও ছাগলনাইয়া উপজেলা দলের মধ্যকার সেমিফাইনাল খেলাটি স্থগিত করা হয়েছে।
ফেনী মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সামসুজ্জামান জানান, মাঠে সংঘর্ষের পরপরই পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আবদুল্লাহ আল-মামুন/কেএইচকে/এএসএম