নিউজিল্যান্ডে প্রবল ঝড়ে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছেন লাখো মানুষ। সেই সঙ্গে দেশটিতে বাতিল করা শতাধিক ফ্লাইট। দেশটির আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) থেকে শুরু হওয়া এই ঝড় নিউজিল্যান্ডের পুরো সাউথ আইল্যান্ড ও নর্থ আইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলজুড়ে তাণ্ডব চালাচ্ছে।
জানা গেছে, ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৫৫ কিলোমিটার (৯৬ মাইল) বেগে বয়ে যাওয়া ঝোড়ো বাতাসে প্রায় ৯০ হাজার বাড়িঘরের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রবল এই ঝড়ে নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে দেশটিতে ১০০টিরও বেশি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
ক্যান্টারবুরি ও রাজধানী ওয়েলিংটনসহ দেশের মধ্যাঞ্চলে জারি করা হয়েছে বিরল ‘রেড উইন্ড ওয়ার্নিং’, যা সবচেয়ে উচ্চমাত্রার সতর্কতা। পাশাপাশি দক্ষিণ দ্বীপে ভারি বৃষ্টিরও আশঙ্কা প্রকাশ করেছে কর্তৃপক্ষ।
বাসিন্দাদের ঘরের ভেতরে অবস্থান করতে, অপ্রয়োজনে ভ্রমণ এড়িয়ে চলতে এবং আরও বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতার জন্য প্রস্তুত থাকতে আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিদ্যুৎ বিভ্রাট মূলত দক্ষিণ দ্বীপের ঘরবাড়িগুলোকেই বেশি প্রভাবিত করেছে বলে জানা গেছে। তবে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ধীরে ধীরে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনঃস্থাপনের কাজ চলছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রবল ঝড়ে বিভিন্ন অঞ্চলে ঘরের ছাদ উড়ে গেছে, গাছ উপড়ে পড়েছে এবং বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়েছে।
রাজধানী ওয়েলিংটনে মঙ্গলবার এক ব্যক্তি গাছের ডাল ভেঙে মাথায় পড়লে নিহত হন। এছাড়া ওয়েলিংটনের এক নারীকে তীব্র ঝোড়ো বাতাস রাস্তার ওপর ছুড়ে ফেলে দেয়, যার ফলে তিনি বিপরীত দিকের গাড়ির সামনে পড়ে যান। সৌভাগ্যবশত তিনি বেঁচে যান। ঘটনাটি একটি গাড়ির ড্যাশক্যাম ভিডিওতে ধরা পড়ে ও সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়।
প্রবল বাতাসের কারণে ওয়েলিংটনে বিমান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে, শহরের কিছু রাস্তা ও লাইব্রেরিও সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছে।
এদিকে, ক্যান্টারবুরি অঞ্চলে দুর্যোগ মোকাবিলার সহায়তায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
অন্যদিকে, একই ধরনের প্রবল বাতাস অস্ট্রেলিয়াতেও বইছে। দেশটির অভ্যন্তরীণ অঞ্চলজুড়ে তাপপ্রবাহ তৈরি হয়েছে ও বনভূমিতে অগ্নিকাণ্ডের আশঙ্কায় জারি করা হয়েছে অগ্নি-নিষেধাজ্ঞা।
সূত্র: বিবিসি
এসএএইচ