কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) কার্যালয়ে দুই বহিরাগতকে দিয়ে দাপ্তরিক কাজ পরিচালনা করার অভিযোগ উঠেছে। এতে সেবা নিতে এসে হয়রানির শিকার হচ্ছেন অনেকে।
ওই দুই বহিরাগত হলেন কুষ্টিয়ার শাওন ইসলাম ও বগুড়ার শাকিল আহম্মেদ রকি। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সোহেল রহমানের বিশেষ সহকারী হিসেবে তারা পরিচিত। অনেকে এ দুজনকে ‘উজির-নাজির’ হিসেবেও চেনেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পিআইও সোহেল রহমান গত বছরের ডিসেম্বর চিলমারী উপজেলায় যোগদান করেন। পরে নিজ ক্ষমতাবলে ওই দুই ব্যক্তিকে চিলমারীতে নিয়ে আসেন। এরপর থেকেই তাদের দিয়েই অফিসের দাপ্তরিক কাজ এমনকি প্রকল্পের দেখাশোনা করান পিআইও।
এরআগে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সোহেল রহমান সিলেটের ওসমানীনগরে কর্মরত থাকা অবস্থায় সেখানেও বিশেষ সহকারী হিসেবে শাওন ও শাকিল কাজ করেছেন বলে জানা গেছে।
অভিযোগ রয়েছে, বহিরাগত ওই দুই ব্যক্তির দাপটে কোনঠাসা হয়ে পড়েছেন অফিসের অন্য কর্মচারীরা। কেউ কোনো কিছু বলতে গেলেই তাকে অন্যত্র বদলির হুমকি দেন তারা।
এ বিষয়ে শাকিল আহম্মেদ বলেন, ‘স্যারের কাজের সহযোগিতা করার জন্য আমাদের নিয়ে এসেছেন।’
জানতে চাইলে পিআইও সোহেল রহমান বলেন, ‘কাজের গতি বাড়াতে ওই দুজনকে আনা হয়েছে। তবে অফিস থেকে তাদের কোনো বেতন দেওয়া হয় না।’
কুড়িগ্রাম জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল মতিন বলেন, বহিরাগতদের দিয়ে দাপ্তরিক কাজ করার সুযোগ নেই। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে সত্যতা পাওয়া গেলে তার (পিআইও) কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হবে।
এ বিষয়ে চিলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)সবুজ কুমার বসাক বলেন, সরকারি কর্মচারী নীতিমালা অনুযায়ী ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া বহিরাগতদের দিয়ে কাজ করানোর সুযোগ নেই।
রোকনুজ্জামান মানু/এসআর/এমএস