বাংলাদেশ ঋণগ্রস্ত জাতি হয়ে যাচ্ছে : এনবিআর চেয়ারম্যান
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড- এনবিআর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুর রহমান খান জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিদেশি সহায়তার ওপর নির্ভরশীলতা বাড়ছে। এ কারণে বাংলাদেশ ঋণগ্রস্ত জাতি হয়ে যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) নগরীর বরিশাল ক্লাব কনফারেন্স কক্ষে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও বরিশাল চেম্বার অব কমার্সের আয়োজনে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। এতে বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জেলার ব্যবসায়ী নেতারা বক্তব্য রাখেন। তারা ট্যাক্স, ভ্যাট প্রদানে হয়রানি বন্ধসহ বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন।
আবদুর রহমান খান বলেন, অনলাইনে রিটার্ন জমা দেওয়াকে আরও সহজ করা হচ্ছে। আয়কর বিভাগের কোনো কর্মকর্তা, কর্মচারী যদি দুর্নীতির আশ্রয় নেয় কিংবা কেউ হয়রানি হলে অনলাইনে অভিযোগ করার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, একেকজনে একক রকম নয়, সবাইকে একই প্রক্রিয়ায় ভ্যাট প্রদান সিস্টেমকে পুনর্গঠন করতে চায় এনবিআর। বহির্বিশ্বের চেয়ে বাংলাদেশের ভ্যাট ট্যাক্স আদায় কম জানিয়ে দেশের উন্নয়নে রাজস্ব বাড়ানোর কোন বিকল্প নেই বলে যোগ করেন।
একবার কেউ কর শনাক্তকরণ নম্বর-টিআইএন নিলেই তারপর থেকে এনবিআর কর্মকর্তারা তাকে রিটার্ন জমা দিতে নানাভাবে তাগিদ দেবেন জানিয়ে সংস্থার চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান বলেন, দেশে এক কোটির বেশি মানুষের টিআইএন থাকলেও আয়কর বিবরণী দেন তাদের মধ্যে কেবল ৪০ শতাংশের মত।
তিনি বলেন, অনলাইন রিটার্ন হওয়ার কারণে এখন খুব সিম্পলি রিটার্ন দেওয়া যায়। তার পরেও এটাকে আমরা বিবেচনায় নিলাম। আমরা যেটা করছি পিএসআর-এ, যাদের ই-টিআইএন দিতে হতো, তাদের সবাইকে পিএসআরে নিয়ে আসছি। এবার এটাকে স্প্লিট করবে।
তিনি আরও বলেন, যেগুলোর আমরা রিটার্ন এখনই চাই, না হলে হবে না, সেগুলোকে আমরা পিএসআরে নিব। আর কিছুতে আমরা রাখব ই-টিআইএন নেওয়ার ব্যাপারে যে টিআইএন দেখালেই হবে।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আগে টিআইএন থাকলেও যারা আয়কর রিটার্ন দিতেন না তাদেরই মূলত করের আওতায় আনতে পিএসআর চালু করা হয়েছিল। এখন থেকে কর্মকর্তারা সক্রিয় থাকায় সে সুযোগ আর থাকবে না।
বাকিটা আমাদের লোকেরা করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, টিআইএন নেওয়ার পরে কিন্তু তিনি ঘুমাইতে পারবেন না। আমাদের অফিসাররা আপনাকে নোটিশ করবে। তাকে রিটার্ন দেওয়ার জন্য বলবে। যারা কম হারে কর দেন আসছে বাজেটে তাদের ওপরও করের বোঝা বাড়বে বলে সতর্ক করে দেন এনবিআর চেয়ারম্যান।