জুলাই-আগস্ট হত্যাযজ্ঞের বিচার, সংস্কার, নির্বাচন- কোনোটিই কোনোটির সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়। একটি বাদ দিয়ে আরেকটিও নয়। এরপরও অতিকথন, অতিরাজনীতির পরিণতিতে গত মাস কয়েকে বিচার এবং সংস্কার হয়ে পড়ছে সেকেন্ডারি। আহতদের চিকিৎসা দিনকে দিন প্রসঙ্গ থেকেই হারিয়ে যাচ্ছে। এ কাজের বিশেষ দায়িত্বরত ’জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’-এর ভেতরেও গোলমাল। এর সাধারণ সম্পাদক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সারজিস আলম পদ ছেড়ে দিয়েছেন। কারণ হিসেবে বলেছেন, তার আর দায়িত্ব পালনে ‘প্রয়োজনীয় সময় দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না’। আবার একথাও বলেছেন, তার পদত্যাগের পর ‘সাধারণ সম্পাদক’ নামের কোনো পদ আর ফাউন্ডেশনে নেই।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যত্থানে ঝরা রক্তের দাগ এখনো শুকায়নি। ‘গণ–অভ্যুত্থানসংক্রান্ত বিশেষ সেল’ গঠন করেছে সরকার। ১০ নভেম্বর এই সেলের এক গণবিজ্ঞপ্তিতে ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্টের মধ্যে আন্দোলনে সম্পৃক্ত হয়ে নিহত, নিখোঁজ, বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন, চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত অথবা আন্দোলনে সম্পৃক্ত থেকে অন্য কোনোভাবে মারা গেছেন, তাদের স্বজনদের তালিকায় নাম লেখাতে অনুরোধ জানানো হয়। যেসব মানুষ গণ–অভ্যুত্থানে জীবন দিয়েছেন, তাদের স্বজনেরা, কবরটি চিহ্নিত করার অধিকার নিশ্চয়ই রাখেন। আর আহতদের চিকিৎসার দায়িত্ব জুলাই ফাউন্ডেশনের। সেখানেও এখন দুঃখজনক খবর।
জুলাই অভ্যুত্থানে মরপণ লড়াই করা শিক্ষার্থীদের নিয়ে কিছু কুখবর ঘুরছে। তারাই এখন কয়েক ভাগ। জাতীয় নাগরিক কমিটি জুলাই ফাউন্ডেশন সম্পর্কে যে অভিযোগ করেছে তা গুরুতর। তারা ফাউন্ডেশনকে যে চিঠি দিয়েছে তাতে দেখা গেছে ফাউন্ডেশন রাস্ট্র থেকে টাকা নিয়ে ইচ্ছেমতো ব্যয় করছে, আহত বা শহিদ পরিবারকে টাকা দিচ্ছে না, নাম বাদ দিয়ে দিচ্ছে, শহিদ পরিবারের সদস্যদের সাথে দুর্ব্যবহার করছে। রাস্ট্রের বরাদ্দ টাকা অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় খরচ করা হচ্ছে বলে আহত ও শহিদ পরিবারের সদস্যরা তাদের অফিসের সামনে বিক্ষোভ করেছে। এসব খবর মিথ্যা হলে ভালো লাগতো।
গণআন্দোলনে নিহতদের পরিবারে চলছে আহাজারি। আহতরা কাঁতরাচ্ছে হাসপাতালের বেডে। হত্যাকারীদের বিচার প্রক্রিয়া সবে শুরু হয়েছে। সংস্কারের কিছু আয়োজন চলছে। নির্বাচনের ঘন্টাও বেজেছে। এর মাঝেই এমন পরিস্থিতি কারোই কাম্য ছিল না। ধারনাও ছিল না অনেকের। ’কিসের মধ্যে কী, পান্তা ভাতে ঘি’ অবস্থা গোটা আবহটিতে। জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের বিজয়ের সাড়ে চার মাস পার হলেও সব নিহত ব্যক্তিকে শনাক্ত করতে এবং আহত ব্যক্তিদের যথাযথ চিকিৎসাসেবা দিতে না পারার ঘটনা সামগ্রিকভাবে অত্যন্ত বেদনাদায়ক। গণ-অভ্যুত্থানে নিহত অনেককে ‘বেওয়ারিশ’ হিসেবে দাফন, করা হয়েছে। তাদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা কম। এখন পর্যন্ত জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত ব্যক্তিদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ না হওয়াও দুর্ভাগ্যজনক।
জুলাই-আগস্টের হত্যাযজ্ঞ ও বর্বরতার তথ্য সংরক্ষণেও গাফিলতি লক্ষণীয়। গণমাধ্যমে সব তথ্য নেই। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরছে অনেক ভিডিও ফুটেজসহ নানা তথ্য। কোনো কোনো ভিডিওতে এমন নিষ্ঠুরতার দৃশ্য ভাসছে যা সহ্য করা যায় না। এসব ভিডিও দেখার সময় চোখ ঢেকে ফেলতে হয়। কোথাও কোথাও পুলিশের পাশাপাশি তখনকার ক্ষমতাসীন দলীয় ক্যাডারদেরও দেখা যায়। গণ-অভ্যুত্থানের সময় পুলিশের বর্বরতার একটি প্রামাণ্যচিত্র সম্প্রতি বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল ট্রুথ অ্যান্ড জাস্টিস নামে একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার উদ্যোগে ছবিটি তৈরি হয়েছে। আন্তর্জাতিক প্রচারমাধ্যমেও ছবিটি দেখানো হচ্ছে। শেখ হাসিনার পালিয়ে যাওয়ার ঠিক আগে আগে যাত্রাবাড়ী থানার সামনে ঘণ্টা দেড়েক সময়ের মধ্যে কী ঘটেছিল, তার প্রামাণ্য দলিল এ ছবি। বলা হচ্ছে, বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে সংগ্রহ করা ফুটেজগুলো দীর্ঘ সময় ধরে বিচার–বিশ্লেষণের পর ছবিটি তৈরি করেছে তারা। ছবিতে দেখা গেছে কীভাবে ছাত্র-জনতার ওপর নির্বিচার গুলি চালিয়েছে পুলিশ। দেশের আরো অনেক জায়গাতেই এমন ঘটনা ঘটেছে। সেসব ঘটনার ভিডিও সংগ্রহ ও যাচাই-বাছাই জরুরি।
ভুক্তভোগীদের বাইরে পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও জানে, আওয়ামী লীগ সরকার এবং তাদের দলীয় ক্যাডারে পরিণত হওয়া কিছু পুলিশ কর্মকর্তার নির্দেশে তারা কত বড় অন্যায় ও অপকর্ম করেছেন। যে কারণে দেশের সব থানা থেকে পুলিশ বাহিনীর লোকজন পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন। পুলিশ ও র্যাবপ্রধান গণ-অভ্যুত্থানে তাদের ভূমিকার জন্য দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। ক্ষমা চাওয়া- না চাওয়া, দুই অধিকারই তাদের আছে। তাই বলে তথ্য-সাবুদ সংগ্রহে থাকবে না?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে ভুল, অপকর্ম বা অন্যায়ের জন্য ক্ষমা চাওয়ার নজির নেই। আছে অন্যের ওপর দোষ চাপানো এবং নিজেদের সহি-শুদ্ধ প্রচারের চেষ্টা। যা এরইমধ্যে পুরোদমে চলছে। এটি পতিত-বিতাড়িতদের জন্য আশীর্বাদের মতো। আর রাজনীতির নামে পেশাদার দুর্বৃত্তদের জন্য গোল্ডেন চান্স। এ চান্স নিতে একটুও কমতি করছে না তারা। চাঁদাবাজি, দখলদারিতে নেমে পড়েছে এ মহলটি। চাঁদাবাজ বদলেছে, চাঁদাবাজি বদলেনি। একইভাবে দখলবাজ বদলেছে, দখলবাজি কমেনি। বরং ক্ষেত্রবিশেষে বেড়েছে। এদের অপতৎপরতায় গণ-অভ্যুত্থান প্রশ্নবিদ্ধ হতে চলেছে। তা বিপ্লবের চেতনাকে মাঠে মারছে। মানুষের গণতন্ত্রের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সাধারণ মানুষকে ভয়ের রাজত্ব পিছু ছাড়ছে না। তাদেরকে আবার মাঠে নামতে হবে? মাঠে নামা আর আর রক্ত দেওয়াই মানুষের নিয়তি? না, তা হতে পারে না। গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের বিচার দরকার। আহতদের চিকিৎসা ও ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনও জরুরি। এই ফরজ কাজগুলো বাদ দিয়ে অন্য নানা কাজে ব্যস্ততা শহীদদের রক্তের সাথে বেঈমানি।
গেল বছরের জুলাইতে শুরু হওয়া শান্তিপূর্ণ কোটাবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, যা বিগত সরকারের মদতে দেশব্যাপী নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর পুলিশের নৃশংস আক্রমণের কারণে বিক্ষোভে রূপ নেয়। আট দফা, নয় দফাসহ বিভিন্ন দফা পেরিয়ে ৩ আগস্ট ছাত্র-জনতা শহীদ মিনারে ঘোষণা করে এক দফা- শেখ হাসিনার পদত্যাগ। তার একদিন পর ৫ আগস্টে সেই আন্দোলনের সাফল্য। ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ও দেশ ছেড়ে পলায়ন। স্বাভাবিকভাবেই প্রথম কাজটি হওয়া উচিৎ হত্যাযজ্ঞে জড়িতদের সনাক্তকরণ ও বিচার। হিতদের সংখ্যা নিরুপণ ও আহতদের চিকিৎসা। এ কাজের সমান্তরালে দরকার প্রয়োজনীয় সংস্কার। কিন্তু, সিম্পল এ বিষয়টিকে জটিল করে ফেলা হচ্ছে নানা কথামালা ও তৎপরতার তিক্ততায়।
লক্ষণটি বড় বেদনাদায়ক। আমলাদের মহার্ঘভাতা হচ্ছে। বাড়িতে চলে যাওয়ারা কন্ট্রাক্টে ফিরে আসছে। চাকরিচ্যুতরা ক্ষতিপূরণ বাগিয়ে নিচ্ছে। রাজনৈতিক শক্তিগুরেঅর আরেক হিসাব। ক্ষমতায় আসার তোড়জোর। দেরি হলে ক্ষমতা ফসকে যেতে পারে বলে শঙ্কা কারো কারো। তাদের কাছে দ্রুত একটা নির্বাচনই সব ফয়সালা। সংস্কার, গণহত্যাযজ্ঞের বিচার তাদের কাছে খামাখা সময় ও অর্থের অপচয়।েআর যেন ফ্যাসিস্ট জন্ম না হয়, বিগত সময়ের মতো কাউকে নিপীড়ন, গুম, খুনের শিকার হতে না হয়, সেরকম একটা বন্দোবস্ত তৈরির গরজ নেই বললেই চলে। সংসদ, বিচার, প্রশাসনসহ রাষ্ট্রের সকল সেক্টর থেকে দানব সৃষ্টির বীজ উপড়ে ফেলার বন্দোবস্তে যেতে গরজ দৃশ্যমান নয় তাদের ক্রিয়াকর্মে।
এসবের পরিণতিতে যা হবার তা-ই হচ্ছে। কেউ টিসিবির ট্রাকের সামনে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে নিত্যপণ্য কিনবে, আর অতিরিক্ত কর দিয়ে এই মহার্ঘভাতার টাকার জোগান দেবে। কেউ যথারীতি মোজমাস্তি করবে। বৈষম্যেরই নয়া আয়োজন। দেশে রাজস্ব আয়ের প্রধান উৎস ভ্যাট। আয়কর বা কাস্টমস ডিউটি নয়। আর এই ভ্যাট পরোক্ষে আদায় করা হয় বিধায়, তা রাস্তার ফকির থেকে সর্বস্তরের মানুষকে দিতে হয়। অথচ এই সব মানুষের আয় বৃদ্ধি দূরে থাক, মূল্যস্ফীতির চাপে আয়-রোজগারই কমে আসছে। ২০১৫ সালে সর্বশেষ ঘোষণা করা বেতন কাঠামোতে সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতা দ্বিগুণ করা হয়েছিল। তখন বলা হয়েছিল, সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতা বাড়ালে তারা দুর্নীতিতে জড়াবেন না। বৈধ উপার্জন দিয়েই তারা স্বাচ্ছন্দ্যে চলতে পারবেন। বাস্তবটা এ রকম হয়নি। বরং দুর্নীতি-চুরিসহ নানান পাপাচার আরও বেড়েছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সংকোচনশীল মুদ্রানীতির পাশাপাশি সরকারি ব্যয়ে কাটছাঁট করার কথা শোনানো হলেও করা হলো উল্টোটা। সরকারিদের মহার্ঘে নিয়ে সাধারণ ক্রেতাদের টিসিবির ট্রাক দেখিয়ে দেওয়া। সেখানেও গোলমাল। প্রচুর সংখ্যক ভুয়া কার্ডের কথা জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা নিজেই। অন্যায়, বৈষম্যের সঙ্গে একটি সমাজের বেশির ভাগ মানুষের মাখামাখিতে যা হওয়ার বাজারে আসলে তা-ই হচ্ছে। সামনে রমজান, তখন কী হবে?
বিগত আওয়ামী লীগ সরকার অযৌক্তিক সুবিধা দিয়েও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের খুশি করতে চেয়েছে; বিশেষ করে সরকারি কর্মকর্তাদের বিনা সুদে গাড়ির ঋণ ও গাড়ি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য মাসিক ভাতা। এছাড়া সরকারের হঠাৎ মনে হয়েছিল বাংলা নববর্ষ উপলক্ষেও একটা ভাতা দেওয়া যায়। সরকার চাইলে যে কাউকে ভাতা দিতে পারে। কিন্তু, সরকার বা নিয়োগকর্তারা চাইলেও বেসরকারি খাতের কর্মীদের জন্য মহার্ঘের মতো কোনো ভাত-ভাতার ব্যবস্থা করতে পারবে না। সমাজের সব মানুষ ভাতা চায়ও না। কারও কারও কাছে অসম্মানের। তারা চায় কাজ। কাজের মাধ্যমে আয়-রোজগার। ব্যবসায়ী-বিনিয়োগকারীরা চান পুঁজির গ্যারান্টি। পুঁজিতে টান পড়ে গেছে ব্যবসায়ীদের অনেকের। না পারছেন সইতে, না ব্যবসা ছেড়ে দিতে। বিতাড়িত সরকারের আমলে বিনিয়োগে খরার টানের কথা বললেও সরকারের একতরফা উন্নয়নের বাজনায় তা তলিয়ে গেছে।
সচরাচর রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়লে দেশি-বিদেশি সব বিনিয়োগই কমে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বছরে এ প্রবণতা হজম করতে অভ্যস্ত ব্যবসায়ী-বিনিয়োগকারীরা। গত বছরের ৭ জানুয়ারি একতরফা জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বাপর , জুলাই-আগস্টে গণআন্দোলনে দেশ আরও অস্থির হয়েছে। নতুন সরকার আসার পর রাজনৈতিক অস্থিরতা কমেও কমলো না। বরং নতুন ডালপালা বিস্তার। এর জেরে ব্যবসা-বিনিয়োগ কমতে কমতে এখন তলানিতে। গণতন্ত্র ও মানবাধিকারকেন্দ্রিক ভবিষ্যতের উদ্দেশে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ভালো কিছু উদ্যোগের প্রশংসা করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ-এইচআরডব্লিউ। প্রশংসার সঙ্গে ‘কিন্তু’ যোগ করে বলেছে, ব্যাপক প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার ছাড়া ঐক্যের অগ্রগতি ম্লান হয়ে যেতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থাটি তাদের ২০২৪ সালের ৫৪৬ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে বাংলাদেশ অংশে বলেছে, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানদণ্ড অনুযায়ী দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কার করা উচিত। বিশ্ব স্বীকৃতির তাগিদও দেয়া হয়েছে।
পুলিশ, প্রশাসনসহ প্রাতিষ্ঠানিক আরও কিছু ক্ষেত্রে সংস্কারে ঘাটতি নিয়ে কথা হচ্ছে। এ বিষয়ে একটি অঘোষিত ঐক্য ও আকাঙ্ক্ষা জনগণের মধ্যে ব্যাপকভাবে লক্ষণীয়। সেইসঙ্গে তাদের মধ্যে আর চুপ না থেকে মুখ খুলে কথা বলার চর্চা শুরু হয়েছে। পদক্ষেপও নিয়ে ফেলছে। যার কিছু নমুনা গত ক’দিন দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায়। যেখানে প্রতিবেশী দেশের কাঁটাতারের বেড়া বা কোনো ধরনের আগ্রাসন টের পাচ্ছে সেখানেই প্রতিরোধ গড়ে তুলছে। দাঁড়িয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবির সাথে। এ এক অন্যরকম আবহ। জাতীয় ঐক্যের এমন বিস্ময়কর মহড়া বাংলাদেশ কমই দেখেছে। এ ঐক্যকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার চেয়ে পিছু টেনে ধরার আয়োজন প্রকারান্তরে আন্দোলনে শহীদদের আত্মাকে কষ্ট দেওয়া এবং আহতদের বদদোয়ার শিকার হওয়া।
লেখক: সাংবাদিক-কলামিস্ট; ডেপুটি হেড অব নিউজ, বাংলাভিশন
এইচআর/জিকেএস