বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) মনে করছে, ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দেশের রপ্তানি বাণিজ্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর ফলে বিদেশি ক্রেতাদের আস্থায় নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
রোববার বিজিএমইএর সিনিয়র সহ-সভাপতি ইনামুল হক খানের নেতৃত্বে সংগঠনটির একটি প্রতিনিধিদল ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে এ শঙ্কার কথা জানায়।
বিজিএমইএ নেতারা পরিদর্শনকালে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এসময় তারা পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তাদের উদ্বেগের কথা জানান এবং এ খাতে স্বাভাবিক কার্যক্রম বজায় রাখার ব্যাপারে সহযোগিতা কামনা করেন।
সাক্ষাৎকালে উপদেষ্টা বিজিএমইএ নেতাদের পোশাকশিল্পের আমদানি করা কাঁচামাল ৭২ ঘণ্টার স্থলে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে খালাস করার নির্দেশনা দেন এবং জানান, আপাতত আমদানি করা কাঁচামাল কার্গো ভিলেজের তিন নম্বর ভবনে রাখা হবে। সেই অনুযায়ী বিজিএমইএ বিমানবন্দর দিয়ে আমদানি করা শিল্পের মালামাল ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে খালাস করার জন্য সংগঠনের সদস্যদের নির্দেশনা দিয়েছে।
আরও পড়ুন
শাহজালালে আমদানি-রপ্তানিপণ্য রাখা ও খালাসের স্থান নির্ধারণ
শাহজালালে আগুনে ক্ষতির পরিমাণ ১০০ কোটি টাকার বেশি: বিজিএমইএ
ব্যবসায়ীদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আহ্বান এফবিসিসিআইয়ের
বিজিএমইএ প্রতিনিধিদলের সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে কার্গো ভিলেজের আট নম্বর গেটের সামনে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। সংগঠনটির পক্ষ থেকে পোশাকশিল্পের এ বিপুল ক্ষতি মোকাবিলায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং সরকারের কাছে বেশকিছু বিষয়ে দাবি জানানো হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে-
• এ অগ্নিকাণ্ড দুর্ঘটনা না কি নাশকতা, সে বিষয়ে দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্ত শুরু করা।
• ক্ষতিগ্রস্ত উদ্যোক্তাদের জন্য সার্বিক সহযোগিতা ও উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা।
• পোশাকশিল্পের স্বাভাবিক কার্যক্রম বজায় রাখার স্বার্থে বন্দরের বর্তমান পরিস্থিতি নির্বিশেষে যেন অন্যান্য নিয়মিত শিপমেন্টও স্বাভাবিক গতিতে চলতে পারে, এর জন্য সব প্রক্রিয়া সহজ ও দ্রুততর করা।
• রপ্তানি পণ্য খোলা জায়গায় না রেখে বিমানবন্দরের স্পর্শকাতর এলাকায় পণ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, যাতে বিদেশি ক্রেতাদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি না হয়।
বিজিএমইএ প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন সহ-সভাপতি (অর্থ) মিজানুর রহমান, পরিচালক ফয়সাল সামাদ, মজুমদার আরিফুর রহমান, কাজী মিজানুর রহমান, রুমানা রশীদ ও মোহাম্মদ সোহেল, সাবেক পরিচালক নজরুল ইসলাম, জনসংযোগ ও প্রচার কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদ কবির, এয়ারপোর্ট সেলের চেয়ারম্যান মো. নিশের খান প্রমুখ।
ইএআর/একিউএফ/জিকেএস