বিশালাকৃতির ‌‌৩ ষাঁড়, একসঙ্গে কিনলে ওমরাহ ফ্রি

3 months ago 11

কোরবানির জন্য পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় প্রস্তুত করা রয়েছে ‌‌রাঙ্গা দুদু, কালা পাহাড় ও রাজা মানিক নামের তিনটি ষাঁড়। নামে যেমন আকর্ষণীয় দেখতেও রয়েছে ভিন্নতা। কুয়াকাটা ডেইরি ফার্ম নামের একটি খামারে অর্ধশতাধিক গরু থাকলেও ষাঁড় তিনটি সবার নজর কেড়েছে। ষাঁড় তিনটি একসঙ্গে কিনলে রয়েছে চমক। ক্রেতাকে নিজ খরচে ওমরাহ করানোর ঘোষণা দিয়েছেন খামারটির স্বত্বাধিকারী হাবিবুর রহমান মিছবাহ।

খামার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রথম দিকে শখের বশে শাহিওয়াল ও ফ্রিজিয়ান জাতের দুটি গাভি কিনে খামার শুরু করেন হাবিবুর রহমান। এখন তার খামারে রয়েছে অর্ধশতাধিক গরু। এগুলোর মধ্যে অল্প কিছু দেশীয় জাতের পশু হলেও বেশিরভাগই শাহিওয়াল ও ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়। তবে কোরবানি উপলক্ষে বিশেষভাবে তিনটি ষাঁড় প্রস্তুত করেছেন হাবিবুর রহমান। ২০ মণের রাঙ্গা দুদুর দাম হাঁকানো হচ্ছে ১৬ লাখ টাকা। রাঙ্গা দুদুর চেয়েও বেশি ওজন নিয়ে প্রস্তুত ‌‌কালা পাহাড়, যার দাম হাঁকানো হয়েছে ১৭ লাখ। তবে ওজন ও বয়সে কিছুটা পিছিয়ে থাকায় রাজা মানিকের দাম ১২ লাখ টাকা।

বিশালাকৃতির ‌‌৩ ষাঁড়, একসঙ্গে কিনলে ওমরাহ ফ্রি

খামারটির স্বত্বাধিকারী হাবিবুর রহমান মিছবাহ বলেন, ‌আমি দেশজুড়ে ইসলামের দাওয়াত নিয়ে বেড়াই। ওয়াজ-নসিহতের পাশাপাশি খামার, কৃষিকাজ করা এগুলো আমার শখ। তবে শখ থেকে এখন এটা পেশায় পরিণত হয়ে গেছে। ৪-৫ বছরের লম্বা একটা পরিশ্রমের পরে আমরা এবছর শাহিওয়াল ও ফ্রিজিয়ান জাতের তিনটি ষাঁড় প্রস্তুত করেছি।

তিনি আরও বলেন, বড় জাতের এই পশু প্রস্তুত করতে আমরা কোনো প্রকার মেডিসিন বা ক্ষতিকারক খাবার দেইনি। স্বাভাবিক খাবার খাওয়ানো হয়েছে। বড় ষাঁড় তিনটি কেউ একসঙ্গে কিনলে তাকে আমার পক্ষ থেকে ওমরাহ করানো হবে।

বিশালাকৃতির ‌‌৩ ষাঁড়, একসঙ্গে কিনলে ওমরাহ ফ্রি

খামারের দেখভালের দায়িত্বে থাকা শাহিন বলেন, আমরা দুজন লোক সার্বক্ষণিক গরুগুলোর পরিচর্যা করছি। প্রতিদিন নিজ হাতে বানানো সাইলেজ (বায়ুরোধক অবস্থায় সংরক্ষিত সবুজ ঘাস), ঘাস, খড় খাওয়ানো হয়। গোসল করানো হয় দিনে তিনবার।

স্থানীয় বাসিন্দা আবুল হোসেন রাজু বলেন, প্রতিবছর চোখে পড়ার মতো অনেকগুলো পশু এই এলাকায় পালন করা হয়। এবছর রাঙ্গা দুদু আর কালা পাহাড়ই বাজারে সেরা হবে।

বিশালাকৃতির ‌‌৩ ষাঁড়, একসঙ্গে কিনলে ওমরাহ ফ্রি

এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মারুফ বিল্লাহ খান বলেন, চলতি বছরে উপজেলায় ২২ হাজারের বেশি গরু কোরবানির জন্য প্রস্তুতি করা হয়েছে। কেউ যাতে এসব পশুর শরীরে ক্ষতিকারক উপাদান ব্যবহার করতে না পারে, সেজন্য প্রাণিসম্পদ বিভাগ সবসময় নজরদারি করছে। কোরবানি পশুর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে আমরা সর্বদা কাজ করছি।

আসাদুজ্জামান মিরাজ/এসআর/জিকেএস

Read Entire Article