বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে চলমান আইনি টানাপোড়েনে নতুন মোড় এসেছে। সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্ট সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের পাঠানো একটি চিঠির কার্যকারিতা স্থগিত করলেও, দিন শেষে চেম্বার আদালত সেই আদেশ স্থগিত করে দিয়েছে। ফলে আপাতত বৈধ থাকছে বুলবুলের চিঠি।
সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে বিসিবি নির্বাচন। এর আগে জেলা ও বিভাগীয় এডহক কমিটিকে চিঠি দিয়ে নতুন কাউন্সিলর পাঠানোর অনুরোধ করেন সভাপতি বুলবুল। কিন্তু গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সভাপতির এ ধরনের নির্দেশ দেয়ার এখতিয়ার নেই—এমন অভিযোগ তুলে টাঙ্গাইলের তপন, লক্ষীপুরের কামরুল, গোপালগঞ্জের খসরু এবং রাজবাড়ীর দুলাল হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।
সে রিটের প্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের বেঞ্চ বুলবুলের চিঠির কার্যকারিতা স্থগিত করেন। তবে আইনজীবীরা তখনই পরিষ্কার করে বলেন, বিসিবি নির্বাচনের নির্ধারিত তারিখে কোনো বাধা নেই।
কিন্তু একই দিনে চেম্বার আদালত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করলে আবারও বৈধতা ফিরে পায় সভাপতির চিঠি। ফলে নির্বাচনপূর্ব প্রক্রিয়ায় বুলবুলের সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকছে।
এদিকে, বিসিবির নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী মনোনীত কাউন্সিলরদের তালিকা প্রকাশ হওয়ার কথা ছিল ১৭ সেপ্টেম্বর। কিন্তু সভাপতি নিজেই তা দুই দফায় পিছিয়ে এনে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় দেন। বিষয়টি নিয়েও ইতোমধ্যে প্রশ্ন উঠেছে, যেহেতু তিনি নিজেও আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থী, তাই এমন উদ্যোগ কি নির্বাচনী নিরপেক্ষতাকে ক্ষুণ্ণ করছে না।
নিয়ম অনুযায়ী, কাউন্সিলরদের তালিকা হস্তক্ষেপ ছাড়া প্রকাশের দায়িত্ব থাকে নির্বাচন কমিশনের ওপর। বিদ্যমান গঠনতন্ত্রে সভাপতি নতুন করে কাউন্সিলর মনোনয়নের সুযোগ দেন না। এই বিতর্কিত পরিস্থিতিই এখন নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ঘিরে নানা প্রশ্ন তৈরি করছে।