উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতে এখন ব্যবসার ক্ষেত্রে কোয়ান্টাম প্রযুক্তির ব্যবহার জনপ্রিয় হচ্ছে। বাংলাদেশেও এ পরিষেবা চালুর বিষয়ে তাগিদ দিয়েছেন ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা।
শনিবার মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) সভাকক্ষে কোয়ান্টাম পরিষেবা: সম্ভাব্য নতুন বিশ্ব শীর্ষক এক সভায় এ তাগিদ দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে কোয়ান্টাম নিয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন কোয়ান্টাম সিটির অন্তর্বর্তীকালীন সিইও ড. স্যাম সামদানি। এসময় প্রধান অতিথি ছিলেন বেসরকারি ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (আইইউবি) উপাচার্য ও বুয়েটের অধ্যাপক মোহাম্মদ তামিম।
এসময় স্যাম সামদানি তার প্রবন্ধে বিশ্বজুড়ে উৎপাদনশীলতা বাড়ানো এবং কার্যক্ষম খরচ কমানোর জন্য কীভাবে কোয়ান্টাম পরিসেবার ব্যবহার হচ্ছে সেসব বিষয় তুলে ধরেন। তিনি ভবিষ্যতে ব্যবসার ক্ষেত্রে কোয়ান্টাম পরিষেবাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুঘটক হিসেবে চিহৃত করেন।
তিনি বলেন, বিশ্বজুড়ে এ খাতে বিনিয়োগ বাড়ছে। চীন, জার্মানী, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কুড়িয়াসহ বিভিন্ন উন্নত দেশ তাদের ব্যবসায় কোয়ান্টাম যুক্ত করছে। বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তন এবং প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলেয়ে না চলতে পারার উদ্বেগ মোকাবিলায় কোয়ান্টাম প্রযুক্তির প্রধান ভূমিকার রাখতে পারে।
অধ্যাপক মোহাম্মদ তামিম বলেন, আমাদের উন্নত প্রযুক্তি গ্রহণ করার ক্ষেত্রে আরও যত্নশীল হওয়া দরকার। আমাদের দেশে উৎপাদনশীলতা ও অন্যান্য ক্ষেত্রের সমস্যাগুলোর সমাধান হতে পারে কোয়ান্টাম প্রযুক্তি। ফলে সেদিকে নজর দেওয়া দরকার।
তিনি বলেন, দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় এ ধরনের নতুন নতুন প্রযুক্তির বিস্তার ঘটাতে হবে। প্রযুক্তি টেকসই শ্রমশক্তি তৈরি করতে হবে।
এসময় এমসিসিআইয়ের নেতারা ও নেতৃস্থানীয় উদ্যোক্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এনএইচ/এমআইএইচএস