ব্যাংক এশিয়ার পাওনা টাকা পরিশোধ করেছে এক্সিম ব্যাংক। তারল্য সংকটের কারণে পরিস্থিতি সামাল দিতে বছর খানেক আগে ব্যাংক এশিয়া থেকে ধার করেছিল এক্সিম ব্যাংক। কিন্তু মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরও ব্যাংকটি টাকা পরিশোধ করতে পারেনি। পরে আদালতের দারস্ত হলে গত ৪ আগস্ট এক্সিম ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ক্রোকের নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে ২৭ আগস্ট ব্যাংকটির পাওনা পরিশোধ করে দিয়েছে এক্সিম ব্যাংক।
ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, এক বছর আগে তারল্য সংকট সামাল দিতে ব্যাংক এশিয়া থেকে ৩৫০ কোটি টাকা ধার নিয়েছিল এক্সিম ব্যাংক। ওই ঋণের সুদসহ লভ্যাংশ দাঁড়ায় আরও ৪২ কোটি ২১ লাখ টাকা। কিন্তু সংকট না কাটায় মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার পরও ওই টাকা পরিশোধ করতে পারেনি ব্যাংকটি। এতে বাধ্য হয়ে আদালতের দ্বারস্ত হয় ব্যাংক এশিয়া।
পরে গত ৪ আগস্ট ঢাকার ৫ নম্বর অর্থঋণ আদালতের বিচারক মুজাহিদুর রহমান এক্সিম ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ক্রোক করার নির্দেশনা দেন। গত ২৭ আগস্ট ব্যাংক এশিয়ার মোট ৩৯২ কোটি ২১ লাখ টাকা পরিশোধ করে এক্সিম ব্যাংক।
এর আগে গত ৪ আগস্ট আদালত দেওয়া আদেশ থেকে জানা যায়, নালিশি ঋণের বিপরীতে এক্সিম ব্যাংকের কোনো সম্পত্তি দায়বদ্ধ নেই। তবে ওই সম্পত্তিতে এক্সিম ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় অবস্থিত। এক্সিম ব্যাংকের অর্থনৈতিক অবস্থা অত্যন্ত ভঙ্গুর হওয়ায় সম্প্রতি অন্য ব্যাংকের সঙ্গে এক্সিম ব্যাংককে একীভূত করার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তাই এক্সিম ব্যাংকের অস্তিত্ব বিপন্ন হওয়ায় প্রধান কার্যালয়ের সম্পত্তি ক্রোক না করলে বাদী ব্যাংক এশিয়ার বিপুল পরিমাণ খেলাপি ঋণ আদায় অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।
শুনানি শেষে ও নথি পর্যালোচনা করে বিচারক এক্সিম ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় কেন ক্রোক করা হবে না মর্মে ১৫ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে কারণ না দর্শানো বা আপত্তি দাখিল না করা পর্যন্ত ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয় অস্থায়ীভাবে ক্রোক করার আদেশ দেন আদালত।
সার্বিক বিষয়ে জানতে ব্যাংক এশিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর কে হোসেনকে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি। পরে মুঠোফোনে ম্যাসেজ পাঠালেও তিনি কোনো উত্তর দেননি।