ভারতের স্পন্সর হতে যেসব শর্ত পূরণ করতে হবে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানকে

4 hours ago 4
নতুন যুগে প্রবেশ করতে চলছে ভারতীয় ক্রিকেট। ড্রিম১১-এর চুক্তি বাতিল হওয়ার পর ভারতের ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) নতুন লিড স্পন্সরশিপের জন্য কঠোর শর্তাবলী ঘোষণা করেছে। বোর্ডের লক্ষ্য স্পষ্ট: প্রধান স্পন্সরের ক্ষেত্রে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত প্রতিষ্ঠান বা অনিরাপদ উদ্যোগকে সুযোগ দেওয়া হবে না। বিসিসিআই জানিয়েছে, লিড স্পন্সরশিপের জন্য আবেদন করতে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানগুলিকে আগ্রহের প্রমাণপত্র ক্রয় করতে হবে ১২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে। এরপর ১৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আবেদনপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। প্রমাণপত্র ক্রয়ের জন্য ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লক্ষ টাকা (অপ্রত্যাহারযোগ্য) । বোর্ড স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে, ক্রিপ্টোকারেন্সি, অনলাইন গেমিং, বাজি বা জুয়া সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠান, মদ ও তামাকজাত পণ্য উৎপাদনকারী কোম্পানি এই সুযোগে আবেদন করতে পারবে না। পাশাপাশি, আবেদনকারীর গত তিন বছরের গড় বার্ষিক টার্নওভার বা নেটওর্থ কমপক্ষে ৩০০ কোটি রুপি হতে হবে। বিসিসিআই জানিয়েছে, আবেদনকারীদের “ফিট অ্যান্ড প্রপার পার্সন” হতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে—কোনও অপরাধমূলক রায় না থাকা, নৈতিক বা অর্থনৈতিক দুর্নীতির দায় না থাকা, দুই বছরের বেশি সাজাপ্রাপ্ত অপরাধে যুক্ত না থাকা, ব্যাংক কর্তৃক উইলফুল ডিফল্টার তালিকাভুক্ত না থাকা এবং সুপরিচিতি ও সুনাম থাকা। অবৈধ ও নিষিদ্ধ ব্র্যান্ড ক্যাটেগরি: মদ ও তামাকজাত পণ্য অনলাইন গেমিং, বাজি বা জুয়া ক্রিপ্টোকারেন্সি এবং সম্পর্কিত ব্যবসা জনগণের নৈতিকতাকে আঘাত করার সম্ভাব্য পণ্য ইতিমধ্যেই বিদ্যমান স্পন্সরশিপের কারণে কিছু ক্যাটেগরি যেমন ব্যাঙ্ক, ইনস্যুরেন্স, স্পোর্টসওয়্যার, নন-অ্যালকোহলিক কোল্ড ড্রিঙ্কস, ফ্যান, মিক্সার গ্রাইন্ডার, সেফটি লক ইত্যাদি বোর্ড আরও জানিয়েছে, সারোগেট ব্র্যান্ডের মাধ্যমে বিড জমা দেওয়া যাবে না। এছাড়া, প্রক্রিয়াটি যেকোনো সময় বাতিল বা সংশোধন করার অধিকার বিসিসিআই সংরক্ষণ করছে। এই শর্তাবলী নিশ্চিত করবে যে ভারতীয় ক্রিকেটের প্রধান স্পন্সর হবে স্বচ্ছ, শক্তিশালী ও নৈতিকভাবে সুপ্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান। তবে এই কারণে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া এশিয়া কাপ ২০২৫-এ ভারতীয় দলের জার্সিতে নতুন স্পন্সর দেখা নাও যেতে পারে।
Read Entire Article