মার্করামের ঝড়ে হেডিংলিতে উড়ে গেল ইংল্যান্ড

4 hours ago 5

হেডিংলির সবুজ উইকেটে টিকে থাকার লড়াই যেন চোখের পলকেই শেষ হয়ে গেল। মাত্র ২৪.৩ ওভার টিকল ইংল্যান্ড, রান মাত্র ১৩১। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকার ওপেনার আইডেন মার্করামের ব্যাটিং আতশবাজি—২৩ বলে ঝোড়ো ফিফটি—পুরো ম্যাচটাকে রূপ দিল একতরফা প্রতিযোগিতায়। ফলাফল: প্রোটিয়াদের ৭ উইকেটের দাপুটে জয়, আর সিরিজে ১-০ লিড।

প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ইংলিশ ব্যাটাররা শুরুটা মন্দ করেনি। জেমি স্মিথ কিছু চমক দেখালেও ধারাবাহিক ভুল শটে একে একে ভেঙে পড়ে ইনিংস। সর্বোচ্চ ৫৪ রান আসে স্মিথের ব্যাট থেকে। বাকি সবাই ছিলেন যেন এক অস্থিরতার প্রতিচ্ছবি। কেশব মহারাজ দেখালেন কেন তিনি বর্তমানে আইসিসি’র এক নম্বর ওয়ানডে বোলার—২২ রানে নিলেন ৪ উইকেট। সঙ্গ দিলেন উইয়ান মুল্ডার, ৩৩ রানে নিলেন ৩টি। শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ডের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৩১ রানে, যা তাদের ইতিহাসে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চতুর্থ সর্বনিম্ন।

কিন্তু আসল নাটক তখনো বাকি। রান তাড়া করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা শুরু করল আগ্রাসনের ঝড়। নতুন বল হাতে অভিষিক্ত সনি বেকারকে রীতিমতো ছিঁড়ে ফেললেন মার্করাম। প্রথম দুই ওভারেই উড়ালেন ৩৪ রান। ৪৪ রানই এল বাউন্ডারিতে। ২৩ বলে ফিফটি তুলে নিয়ে গড়লেন দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসে দ্রুততম ওপেনিং হাফ-সেঞ্চুরির রেকর্ড।

অন্য প্রান্তে রায়ান রিকেলটনও ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরলেন। দু’জনে মিলে গড়লেন ১২১ রানের জুটি, কার্যত ম্যাচটিকে পরিণত করলেন এক প্রহসনে। শেষদিকে মার্করাম (৮৬) আউট হলেও তখন জয় প্রায় নিশ্চিত। মাত্র ২০.৫ ওভারেই লক্ষ্য টপকে সিরিজে এগিয়ে গেল প্রোটিয়ারা।

ইংল্যান্ডের ব্যাটিং বিপর্যয় আর দক্ষিণ আফ্রিকার নতুন আগ্রাসী মেজাজ যেন বিশ্বকাপ ২০২৭–এর প্রস্তুতির এক স্পষ্ট বার্তা। প্রোটিয়ারা দেখাল, তারা শুধু জিততে আসেনি, আধিপত্য বিস্তার করতে এসেছে।

Read Entire Article