ভোটের আগেই উত্তপ্ত চৌদ্দগ্রাম, রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের শঙ্কা

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামের রাজনীতির মাঠ। গত দুইদিনে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে জামায়াত-বিএনপির কর্মীদের পাল্টাপাল্টি হামলায় বেশ কয়েকটি অফিস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহতের খবর পাওয়া গেছে। প্রতিবাদে দু’পক্ষই পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ মিছিলসহ থানায় অভিযোগ করেছেন। তবে স্থানীয়দের শঙ্কা, ভোটের আগে এসব ঘটনা যে কোনো মুহূর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রূপ নিতে পারে। স্থানীয় সূত্র জানায়, নির্বাচন ঘেরে কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) আসনে জামায়াত-বিএনপি সভা, সমাবেশ ও প্রচারনাসহ নানা কর্মসূচি নিয়েছে মাঠে সরব রয়েছেন জামাতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ও বিএনপির মনোনীত প্রার্থী কামরুল হুদা। ইতি মধ্যে উভয় পক্ষের নেতাকর্মীরা বাগ্‌যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ছেন। এর জের ধরে রোববার রাতে উপজেলার জগন্নাথদিঘী ইউনিয়নে জামায়াত এবং বিএনপি নেতারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের দশজন আহত হয়। জামায়াত নেতা ইসমাইলে হোসেনের ও বিএনপি কর্মী সাইফুলে অবস্থা আশঙ্কাজনক। এই ঘটনার জেরে রোববার ও সোমবার রাতে পাল্টাপাল্টি

ভোটের আগেই উত্তপ্ত চৌদ্দগ্রাম, রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের শঙ্কা

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামের রাজনীতির মাঠ। গত দুইদিনে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে জামায়াত-বিএনপির কর্মীদের পাল্টাপাল্টি হামলায় বেশ কয়েকটি অফিস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহতের খবর পাওয়া গেছে। প্রতিবাদে দু’পক্ষই পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ মিছিলসহ থানায় অভিযোগ করেছেন।

তবে স্থানীয়দের শঙ্কা, ভোটের আগে এসব ঘটনা যে কোনো মুহূর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রূপ নিতে পারে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, নির্বাচন ঘেরে কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) আসনে জামায়াত-বিএনপি সভা, সমাবেশ ও প্রচারনাসহ নানা কর্মসূচি নিয়েছে মাঠে সরব রয়েছেন জামাতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ও বিএনপির মনোনীত প্রার্থী কামরুল হুদা। ইতি মধ্যে উভয় পক্ষের নেতাকর্মীরা বাগ্‌যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ছেন। এর জের ধরে রোববার রাতে উপজেলার জগন্নাথদিঘী ইউনিয়নে জামায়াত এবং বিএনপি নেতারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের দশজন আহত হয়। জামায়াত নেতা ইসমাইলে হোসেনের ও বিএনপি কর্মী সাইফুলে অবস্থা আশঙ্কাজনক। এই ঘটনার জেরে রোববার ও সোমবার রাতে পাল্টাপাল্টি হামলায় উভয় পক্ষের বিভিন্ন ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের আশঙ্কা জামায়াত-বিএনপি যে কোনো মুহূর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়তে পারেন।

এ বিষয়ে বিএনপি প্রার্থী কামরুল হুদা বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে জামায়াতের প্রার্থী ডা. তাহেরের ছোট ভাই একরামুল হক হারুনের নেতৃত্বে বিএনপি নেতা কর্মীদের অফিসগুলো ভাঙচুর করেছে। গত দুইদিনে উপজেলার জগন্নাথদিঘীর পাড়, কালিয়ারতল, গুনবতী বাজার, চৌধুরী বাজারসহ অন্তত ৮টি কার্যালয় ভাঙচুর করেছে। আমাদের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছে।

উপজেলা জামায়াত সেক্রেটারি মো. বেলাল হোসেন বলেন, কামরুল হুদার নির্দেশে বিএনপি নেতা কর্মীরা আমাদের ৪টি দলীয় কার্যালয় ও বেশ কয়েকটি পাঠাগার হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে। রাতে আধারে মহাসড়কের ৪৪ কি.মি এলাকায় আমাদের নির্বাচনি অসংখ্য পোস্টার-ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলায় আমাদের শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের নেতা ইসমাইল হোসেনসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়।

চৌদ্দগ্রাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হিলাল উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, গত দুইদিন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে জামায়াত বিএনপির নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছেন। একে অপরের অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছেন। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসি। এই সকল ঘটনায় বিএনপি-জামায়াত থানায় পৃথক পৃথক অভিযোগ দায়ের করেছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জাহিদ পাটোয়ারী/কেএইচকে/এমএস

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow