মাগুরায় কুমড়ো ফুুল বিক্রি করে বাড়তি আয়

8 hours ago 3

মাগুরা সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের সামনে কুমড়ো ফুুল বিক্রি করেন জাহেদা বেগম। জীবিকার তাগিদে বাড়ির আঙিনায় লাগানো কুমড়ো গাছ থেকে ফুল ছিঁড়ে এনে বিক্রি করেন তিনি। এতে তার ৫০০-৬০০ টাকা আয় হয়। মাঝে মাঝেই তিনি এ ফুুল বিক্রি করেন। জাহেদা বেগম ছাড়াও এলাকার অনেকেই কুমড়ো ফুুল বিক্রি করে থাকেন। সৌখিন বিক্রেতা হিসেবেই তাদের গণ্য করা হয়।

জানা যায়, কুমড়ো ফুল দেখতে উজ্জ্বল হলুদ রঙের। এটি বিভিন্নভাবে খাওয়া যায়। ভেজে, সেদ্ধ করে বা বেসন দিয়ে বড়া তৈরি করে খাওয়া হয়। এটি পুষ্টিগুণে ভরপুর। এতে ক্যালোরি ও ফ্যাট কম কিন্তু ভিটামিন ও ফাইবার বেশি। যা হজমে সাহায্য করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ত্বক উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে। কুমড়ো লতায় পুরুষ ও স্ত্রী দুই ধরনের ফুল ফোটে। শুধু স্ত্রী ফুল থেকে ফল ধরে। তাই পুরুষ ফুল সংগ্রহ করে বিক্রি করা হয়।

মাগুরায় কুমড়ো ফুুল বিক্রি করে বাড়তি আয়

গৃহিণীরা জানান, কুমড়ো ফুলের বড়া বেসনে ডুবিয়ে ভেজে মচমচে করে খাওয়া হয়। কুমড়োর ফুল বেঁটে বড়া তৈরি করেও খাওয়া যায়। এ ছাড়া এটি সেদ্ধ করে বা বেটে বিভিন্ন রান্নায় ব্যবহার করা যায়।

আরও পড়ুন
আনারকলি ফল চাষে সফল ঝিনাইদহের স্টালিন 
পাকুন্দিয়ায় গাছ আলু চাষে বদলাচ্ছে কৃষকের জীবন 

কুমড়ো ফুল বিক্রেতা জাহেদা বেগম বলেন, ‌‘পেটের তাগিদে আঙিনায় লাগানো কুমড়ো গাছ থেকে ফুল ছিঁড়ে এনে বিক্রি করি। এ মৌসুমে কুমড়ো ফুল এবং কুমড়ো থেকে ভালোভাবে অর্থ উপার্জন করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকি। কুমড়ো গাছের পুরুষ ফুল বেছে বেছে সরকারি কলেজ রোডের পাশে বসে বিক্রি করি। এই ফুল উৎপাদন করা মোটামুটি সহজ। বর্তমানে প্রচুর মানুষ কুমড়ো ফুল কিনছেন।’

মাগুরায় কুমড়ো ফুুল বিক্রি করে বাড়তি আয়

কুমড়ো ফুল ক্রেতা আলফাজ কাজী বলেন, ‘আমার ছেলে-মেয়ে কুমড়ো ফুলের চপ ও বড়া খেতে খুবই পছন্দ করে। গ্রামে বাড়ির পাশে উৎপাদন করতাম। শহরে থাকায় কুমড়ো ফুল বাজার অথবা শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থান থেকে কিনতে হয়। বর্তমানে ফুলের চাহিদা বাড়ায় অনেক কৃষক বাণিজ্যিকভাবে চাষ করছেন। তারা দারুণ সফলতা পাচ্ছেন। আমার জানা মতে, তারা কুমড়ো ফুল বিক্রি করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন।’

ডা. অনন্যা শাঁখারী বলেন, ‘কুমড়ো ফুলের পুষ্টিগুণ এবং স্বাস্থ্য উপকারিতা আছে। ভিটামিন সি থাকায় এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। উচ্চ ফাইবারের কারণে হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। ক্যালোরি ও ফ্যাট কম থাকায় এটি স্বাস্থ্যকর খাবার। এই ফুল খেলে ত্বক উজ্জ্বল থাকে। নারীদের জন্য খাবারটি দারুণ কার্যকরী।’

মো. মিনারুল ইসলাম জুয়েল/এসইউ/জিকেএস

Read Entire Article