মিরপুরে অগ্নিকাণ্ড: ১৬ মরদেহের দাবিদার ১৭ পরিবার

2 hours ago 6

রাজধানীর মিরপুরে রাসায়নিক গুদাম ও পোশাককারখানায় অগ্নিকাণ্ডে নিহত ১৬ জনের মরদেহ ১৭টি পরিবার দাবি করেছে। এর মধ্যে একটি মরদেহকে দুই ব্যক্তি তার ছেলের বলে দাবি করছেন।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে এসে দুজন ১৪ নাম্বার প্যাকেটে থাকা মরদেহ নিয়ে এ দাবি করেন।

নাটোরের সিংড়া উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের নুর ইসলামের দাবি, মরদেহটি তার ছেলে আব্দুল আলীমের। আলীম পোশাককারখানায় হেলপার হিসেবে কাজ করতো। তার বয়স ১৪। মিরপুরের রূপনগরের শিয়ালবাড়ি এলাকায় থাকতো। ছেলের পোশাক ও চেহারা দেখে শনাক্ত করার দাবি করেন নুর ইসলাম।

অপরদিকে, নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার জৈনপুর গ্রামের মো. জজ মিয়ার দাবি, এ মরদেহ তার ছেলে মো. তোফায়েল আহমেদের (২১)। তিনিও পোশাককারখানায় হেলপার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। চাকরির বয়স আড়াই মাস। শিয়ালবাড়ি এলাকায় থাকতো। চেহারা ও গোফ দেখে তাকে শনাক্ত করার দাবি করেন জজ মিয়া।

মর্গে এসেছে ১৭ পরিবার
ঢামেকের মর্গে রাখা ১৬ মরদেহের খোঁজে এসেছে ১৭ পরিবার। বুধবার স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে। স্বজনরা যাদের মরদেহের খোঁজ করছেন তারা হলো- মো. জয় মিয়া (২০) ও তার স্ত্রী মোছা. মার্জিয়া সুলতানা নাদিয়া (১৮), মো. আল-মামুন (৩৯), মো. নুরে আলম সরকার (২৩), মোছা. ফারজানা আক্তার (১৫), মোছা. নার্গিস আক্তার (১৮), খালিদ হাসান সাব্বির (২৯), আব্দুল আলীম (১৪), রবিউল ইসলাম রবিন (২০), মাহিয়া আক্তার (১৪), আসমা আক্তার (১৩), মো. সানোয়ার হোসেন (২২), মনি আক্তার (১৬), মৌসুমী খাতুন (২২), মোছা. মুক্তা (৩৬), মো. তোফায়েল আহমেদ (২১) ও নাজমুল ইসলাম রিয়াজ (৩৮)।

এ বিষয়ে রূপনগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মুখলেছুর রহমান বলেন, ১৪ নাম্বার প্যাকেটের মরদেহ দুজন দাবি করছেন। বৃহস্পতিবার মরদেহটির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন ও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হবে। পরে পরিবারের কাছ থেকে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে যার সঙ্গে মিলবে তাকে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।

এসআই মুখলেছুর জানান, এরই মধ্যে ছয়টি মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন ও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এগুলো হলো প্যাকেট নাম্বার ১, ২, ৫, ৬, ৮ ও ১৩। বৃহস্পতিবার পরিবারের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে পরে যাদের লাশ তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এখন পর্যন্ত কোনো মরদেহ হস্তান্তর করা হয়নি।

ময়নতদন্ত সম্পন্ন
যে ছয়টি মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন ও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে সেগুলো প্রাথমিক শনাক্ত অনুযায়ী হলো- বরগুনার আমতলী উপজেলার তারিকাটা এলাকার মৃত মজিবুর রহমানের ছেলে মো. আল-মামুন, গাইবান্ধা সদরের ভবানীপুরের মো. আমিনুল ইসলামের ছেলে মো. নুরে আলম সরকার, ভোলার লালমোহন উপজেলার দলীখারনগর এলাকার অজু উল্লাহর মেয়ে মোছা. নার্গিস আক্তার, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার তিলকনগর গ্রামের নজু মিয়ার ছেলে রবিউল ইসলাম রবিন, বরগুনা সদরের টিয়াখালি এলাকার ফারুক মিয়ার মেয়ে মাহিয়া আক্তার ও শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার মিজানুর রহমানের ছেলে সানোয়ার হোসেন।

কাজী আল-আমিন/একিউএফ

Read Entire Article