রাজধানীর মোহাম্মদপুরে যৌথবাহিনীর অভিযানে দুইজনের প্রাণহানি ও অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় দুইটি মামলা করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে হত্যা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়া এবং অস্ত্র আইনে মামলা করা হয়।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ডিএমপির মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মেহেদী হাসান।
তিনি বলেন, অভিযানকালে আটক পাঁচজনসহ পলাতক অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২০-২২ জনকে দুই মামলাতেই আসামি করা হয়েছে। একই সঙ্গে ওই পাঁচজনকে মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাদের সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আজ শুক্রবার আদালতে পাঠানো হয়। পরে তাদের দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
অভিযানকালে যারা নিহত হন জুম্মন (২৫) ও মিরাজ হোসেন (২৬)। এ সময় অস্ত্র-গুলিসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন- মো. মিরাজ (২৫), আল আমিন (২৪), মোহাম্মদ হোসেন (২৩), মোমিনুল (২০) ও মেহেদি হাসান (১৯)।
বুধবার দিনগত গভীর রাতে ছিনতাইয়ের প্রস্তুতি চলার তথ্যের ভিত্তিতে মোহাম্মদপুরের চাঁদ উদ্যানের পাঁচ নম্বর সড়কের এক বাড়িতে অভিযানে যায় যৌথবাহিনী। সেসময় বাহিনীর সদস্যরা একটি গলির দুই পাশ ঘেরাও করলে সন্ত্রাসীরা অতর্কিত গুলি করে।
- আরও পড়ুন
- মধ্যরাতে মোহাম্মদপুরে যৌথবাহিনীর অভিযানে নিহত ২
- মোহাম্মদপুরে দুজন নিহত, ৫ জন আটকের বিষয়ে যা বলছে আইএসপিআর
আইএসপিআর জানায়, যৌথবাহিনী আত্মরক্ষার্থে পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণ করে এবং পাঁচজনকে অস্ত্রসহ আটক করে। পরে ওই বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ছাদের ওপর থেকে জুম্মন ও মিরাজের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে একটি পিস্তল, গুলি ও চাপাতি উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে মোহাম্মদপুর জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) জুয়েল রানা বলেন, অভিযানে গেলে হত্যার উদ্দেশ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর গুলি করা হয়। এ ঘটনায় যেহেতু দুইজন মারা গেছেন তাই একটি হত্যা মামলা হয়েছে। আর আগ্নেয়াস্ত্রসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় পৃথক আরেক মামলা হয়েছে।
জুম্মন ও মিরাজের মরদেহ ময়নাতদন্তের পর বৃহস্পতিবার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় একাধিক মামলা ছিল বলেও জানান এডিসি জুয়েল রানা।
পুলিশ জানায়, নিহত জুম্মনের দুইটি স্থায়ী ঠিকানা পাওয়া গেছে। একটি শরীয়তপুরের গোসাইরহাট, আরেকটি মোহাম্মদপুরের শাহজালাল হাউজিং। তার বাবার নাম আবদুস সাত্তার। নিহত মিরাজের বাড়ি ভোলার চরফ্যাশনে। বাবার নাম মো. শাহজাহান।
টিটি/কেএসআর/এএসএম