উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকের অংশ হিসেবে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আজ বৈঠক করছে ২০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা। প্রথম দফায় ১১টি দল বৈঠকে অংশ নিয়েছে। দ্বিতীয় দফার বৈঠকে অংশ নিতে যমুনায় প্রবেশ করছেন বিভিন্ন ইসলামিক দলের নেতারা।
রোববার (২৫ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার পর দ্বিতীয় দফায় বৈঠকে অংশ নিতে তাদের একে একে যমুনায় প্রবেশ করতে দেখা যায়।
দ্বিতীয় দফায় ৯টি দলের প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে। তারা হলেন, হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমেদ আবদুল কাদের, হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির জাতীয় নির্বাহী পরিষদের মহাসচিব মাওলানা মুসা বিন ইজহার এবং ইসলামী ঐক্য জোটের মহাসচিব মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজি।
এর আগে প্রথম দফার বৈঠকে ১১টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি অংশ নেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন- বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সেক্রেটারি সাইফুল হক, জাতীয় গণফ্রন্টের সমন্বয়কারী টিপু বিশ্বাস, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মুজিবর রহমান মঞ্জু, বাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা খালেকুজ্জামান ভূঁইয়া এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন।
তবে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত প্রথম দফা বৈঠকে অংশ নেওয়া দলগুলোর নেতাও যমুনা থেকে বের হয়ে আসেননি।
এর আগে গতকাল শনিবার সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত বিএনপি, জামায়াত ও ছাত্রদের নেতৃত্বে গঠিত নতুন দল এনসিপির প্রতিনিধিদের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন ড. ইউনূস। সেসব বৈঠকে দলগুলো প্রধান উপদেষ্টার কাছে নিজ নিজ অবস্থান ও দাবি তুলে ধরে।
এএএম/এমকেআর/জিকেএস