যমুনায় তিনদিনে বিলীন ৩০ বসতভিটা

2 hours ago 5

সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার সদিয়া চাঁদপুর এলাকায় যমুনা নদীতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত ৩ দিনে গ্রামটির ৩০০ মিটার এলাকার অন্তত ৩০টি বাড়ির বসতভিটা বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন আতঙ্কে শতাধিক পরিবার ভিটেমাটি নিয়ে ঝুঁকিতে রয়েছেন। অনেকে আবার অন্য জায়গায় সরিয়ে নিচ্ছেন বসতবাড়ি।

সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সরেজমিন দেখা যায়, যমুনার স্রোত ও ঢেউয়ের আঘাতে নদীর পাড় ভাঙছে। ভাঙন-আতঙ্কের ছাপ স্থানীয়দের চোখেমুখে। অনেকে ঘর সরিয়ে নিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। কেউবা অর্থ ও জায়গার অভাবে সেটাও পারছেন না। আসবাবপত্র গুছিয়ে রেখেছে কয়েকটি পরিবার। ভাঙনের মাত্রা বেড়ে গেলে ঘর ভেঙে অন্যত্র চলে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত তারা। আবার কেউ কেউ তাদের আসবাব কাছের আত্মীয়ের বাসায় রেখে এসেছেন।

বসতভিটা হারানো সাইফুল ইসলাম বলেন, গত বছরও নদী বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে ছিল। ভাঙতে ভাঙতে বাড়ির পাশে এসে আটকে ছিল। শনিবার হঠাৎ ভাঙনে ভিটেমাটিহারা হয়ে অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছি।

যমুনায় তিনদিনে বিলীন ৩০ বসতভিটা

স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার দুপুরের পর থেকে রোববার পর্যন্ত যমুনার প্রবল স্রোতে লালচাঁন মিয়া, জুড়ান সেখ, ইয়াদুল ইসলাম ও এরশাদ সেখের বাড়িসহ প্রায় ৩০টি বসতবাড়ি নদীতে চলে গেছে।

আরও পড়ুন-

ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ, মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্টকে মারধর

স্বেচ্ছাসেবক দলের ৩১ সদস্যের কমিটির আহ্বায়কসহ ১৯ জনের পদত্যাগ

কুমিল্লায় মাজারে হামলার ঘটনায় আরও দুজন গ্রেফতার

ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারি সহায়তার দাবি জানিয়ে স্থানীয় স্কুল শিক্ষক ইকবাল হোসেন বলেন, চোখের সামনে ৩০টি বসতভিটা নদীতে বিলীন হয়ে গেলো। হঠাৎ এমন ভাঙনে আমরা সবাই আতঙ্কিত।

যমুনায় তিনদিনে বিলীন ৩০ বসতভিটা

যমুনায় বসতভিটা বিলীন হওয়া আতাহার আলী মণ্ডল বলেন, ৭৩ বছর বয়সে ২৫বার ভাঙনের শিকার হলাম। কিন্তু এভাবে হঠাৎ করে যমুনার আগ্রাসী থাবায় বাড়ি বিলীন হবে কল্পনাও করিনি।

তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, শত শত ঘরবাড়ি নদীগর্ভে চলে গেছে। তবুও এই এলাকা রক্ষায় কেউ এগিয়ে আসেনি।

যমুনায় তিনদিনে বিলীন ৩০ বসতভিটা

সদিয়া দেওয়ানতলা সংকরহাটি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশিদ আশংকা প্রকাশ করে বলেন, ভাঙন এলাকার ৫০ মিটার দূরেই তার বিদ্যালয়। পাউবো দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে সেটিও যমুনায় বিলীন হয়ে যাবে।

এদিকে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোহাম্মদ পারভেজ জাগো নিউজকে বলেন, ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

এম এ মালেক/এফএ/জেআইএম

Read Entire Article