সিএনজিচালিত অটোরিকশায় পাওয়া ১০ ভরি সোনার গয়না প্রকৃত মালিককে ফিরিয়ে দিয়ে সততার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন চালক। মালিককে ৩ দিন যাবত খুঁজে বের করে শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে তা ফেরত দেন তিনি।
মহানুভবতার দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী অটোরিকশা চালক মাঈন উদ্দিন ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার বাসিন্দা।
সূত্রে জানা যায়, ৩ সেপ্টেম্বর সকালে ফুলগাজী উপজেলার দরবারপুর ইউনিয়নের ধলিয়া চকবস্তা গ্রাম থেকে সিএনজি অটোরিকশায় মুন্সীরহাট বাজারে গিয়ে নামেন এক গৃহবধূ। কিন্তু গাড়ি থেকে নামার সময় ভুলে তিনি সঙ্গে থাকা ব্যাগটি রেখে যান। পরে সিএনজি অটোরিকশার চালক মাঈন উদ্দিন ব্যাগটি বাড়িতে নিয়ে তার মামাকে অবহিত করেন। তার মামা যেকোনো মূল্যে ব্যাগটি সকল মালামালসহ মালিককে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু মাঈন উদ্দিন ওই গৃহবধূর নাম পরিচয় কিছুই জানতেন না। পরে তিনি বিভিন্নভাবে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে ৩ দিন পর ওই নারীর পরিচয় শনাক্ত করেন। পরে শনিবার রাতে ওই নারীর হাতে সোনার গয়নাসহ কাপড়ভর্তি ব্যাগটি বুঝিয়ে দেন।
- আরও পড়ুন-
- শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধির দাবিতে রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী বাস বন্ধ
- ঝালকাঠি প্রেসক্লাবের সভাপতি কাজী খলিলুর রহমান আর নেই
- এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন করেছে বিএনপি
ব্যাগটি ফেরত পেয়ে গৃহবধূ বলেন, সেদিন স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে যাওয়ার পথে সিএনজি অটোরিকশা থেকে নামার সময় ভুলে ব্যাগটি রেখে চলে যাই। পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও অটোরিকশাটি শনাক্ত করতে পারিনি। সিএনজিচালক মাঈন উদ্দিন সৎ ও নির্লোভ বলেই আমাকে খুঁজে সবকিছু ফেরত দিয়েছেন।
ফুলগাজী উপজেলার আনন্দপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ আনন্দপুর গ্রামের দুলামিঞা কাজী বাড়ির বাসিন্দা সিএনজি চালক মাঈন উদ্দিন বলেন, আমরা গরিব মানুষ। গাড়ি চালিয়ে যা পাই সেটি দিয়ে অনেক কষ্ট করে সংসার চালাই। অন্যের সম্পদ আমি নিয়ে কী করবো? প্রকৃত মালিককে খুঁজে পেয়ে তার জিনিসগুলো ফেরত দিতে পেরেছি। এটাই আমার মানসিক প্রশান্তি।
আবদুল্লাহ আল-মামুন/এফএ/জেআইএম