যেই জিতুক তাকে অন্যরা বরণ করে নেবেন : আসিফ নজরুল

7 hours ago 7

রাত পোহালেই অনুষ্ঠিত হবে বহুল কাঙ্ক্ষিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ক্যাম্পাস নির্ধারিত আটটি কেন্দ্রে এই ভোটগ্রহণ চলবে।

দেশব্যাপী আলোচিত এই ভোটগ্রহণ শুরুর কয়েক ঘণ্টা মাঝরাতে শুভকামনা জানিয়েছেন সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। 

সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে এই শুভকামনা জানান তিনি।


পোস্টে আসিফ নজরুল লিখেছেন, ‘আগামীকাল ডাকসু নির্বাচন। দেড়যুগ পরে এদেশের তরুণরা অবাধে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছে সেখানে। আশা করি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সবাই এই সুযোগ গ্রহণ করবেন, বিপুল সংখ্যায় ভোট দিতে আসবেন। যেই জিতুক তাকে অন্যরা বরণ করে নেবেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই নির্বাচন আমাদের গণতন্ত্র অভিমুখী বিশাল পদযাত্রা। সর্বান্তকরণে কামনা করি, এর আয়োজন সফল হোক। আল্লাহ্ আমাদের সহায় হোন।’


ডাকসুতে ভোট দেওয়ার সঠিক নিয়ম

ভোটার তার সুবিধাজনক সময়ে নির্ধারিত ভোটকেন্দ্রে যাবেন। ভোটকেন্দ্রে থাকা পোলিং কর্মকর্তাকে ভোটার তার পরিচয় নিশ্চিত করবেন।

ভোটার প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী হলে তার লাইব্রেরি কার্ড অথবা পে-ইন স্লিপ দেখিয়ে পরিচয় নিশ্চিত করবেন। অন্য বর্ষের শিক্ষার্থীরা হল আইডি কার্ড, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইডি কার্ড অথবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় লাইব্রেরি কার্ড দেখিয়ে পরিচয় নিশ্চিত করবেন।

পরিচয় নিশ্চিতের পর ভোটারের আঙুলে অমোচনীয় কালির দাগ দেবেন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা। ভোটার তালিকায় নিজের নামের পাশে সই করবেন ভোটার। এরপর পোলিং কর্মকর্তাকে ভোটার নম্বর জানাতে হবে।

ব্যালট নিয়ে ভোটার প্রবেশ করবেন গোপন ভোটকক্ষে। মোবাইল ফোন বা কোনো ইলেকট্রনিকস ডিভাইস নিয়ে ভোটকক্ষে প্রবেশ করা যাবে না।

ভোটকক্ষে গিয়ে ব্যালট পেপার থেকে পছন্দের প্রার্থীর নাম ও ব্যালট নম্বর খুঁজে বের করবেন ভোটার। এরপর পছন্দের প্রার্থীর নামের পাশের ঘরে স্পষ্টভাবে ‘ক্রস চিহ্ন’ দেবেন ভোটার।

খেয়াল রাখতে হবে, ক্রস চিহ্ন যেন ঘরের বাইরে না যায়। ঘরের বাইরে গেলে সেই ভোট বাতিল হতে পারে। পছন্দের প্রার্থীকে ভোটদান শেষে ব্যালট বাক্সে ব্যালট পেপার জমা দেবেন ভোটার।

কেন্দ্রীয় সংসদ ও হল সংসদের জন্য দুটি আলাদা ব্যালট বক্স থাকবে। ব্যালট পেপার ‘ভাঁজ’ না করে সেগুলো নির্ধারিত বাক্সে ফেলে ভোটার তার ভোটদানের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবেন।

নির্বাচন কমিশনের তথ্যানুযায়ী, যেসব শিক্ষার্থীর দৃষ্টিপ্রতিবন্ধকতা রয়েছে এবং ব্রেইল পড়তে পারেন, তাদের জন্য প্রথমবারের মতো ব্রেইল পদ্ধতিতে ভোটদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে যারা ব্রেইল পড়তে পারেন না, তারা আরেকজনের সহযোগিতা নিয়ে অন্য সবার মতোই ভোট দিতে পারবেন।

ব্রেইল পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণের দায়িত্বে রয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক শারমীন কবীর।

Read Entire Article