রংপুরে সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে পেঁয়াজ ও কাঁচামরিচের। দাম কমেছে আদাসহ দু-একটি সবজির। এছাড়া অপরিবর্তিত রয়েছে চাল, ডাল, মাছ, মাংস ও ডিমসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় অন্যান্য পণ্যের দাম।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) রংপুর নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে প্রতিকেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৮০-১৯০ টাকা। যা গত সপ্তাহে ছিল ১৪০-১৬০ টাকা। এছাড়া পেঁয়াজের দামও বেড়েছে। গত সপ্তাহে ৭০-৭৫ টাকা বিক্রি হলেও আজ তা বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা। তবে পোলট্রি মুরগির ডিমের দাম রয়েছে গত সপ্তাহের মতোই। দোকান ভেদে এক হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৪৮ টাকা।
মুলাটোল আমতলা বাজারের ব্যবসায়ী আলম মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, কাঁচামরিচের দাম প্রতিদিনই একটু একটু করে বাড়ছে। গতকাল পর্যন্ত সর্বোচ্চ দাম ছিল ১৭০ টাকা। আজ সেটা ১৮০ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
সবজি বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা পর্যায়ে টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৬০ টাকা। তবে গাজর ১৪০-১৬০ টাকা থেকে বেড়ে ১৮০-২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কাঁকরোল ৭০-৮০ টাকা, ঝিংগা ৭০-৮০ টাকা থেকে কমে ৫৫-৬০ টাকা, মুলা গত সপ্তাহের মতোই ৩০-৪০ টাকা, ফুলকপি ১২০-১৩০ টাকা, বাঁধাকপি ৭০-৮০ টাকা, চালকুমড়া (আকারভেদে) ৫০-৬০ টাকা, কাঁচকলা ২৫-৩০ টাকা হালি, দুদকুষি ৪০-৫০ টাকা, চিকন বেগুন ৫০-৬০ টাকা, গোল বেগুন ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া ঢেঁড়সের দাম সামান্য কমে ৫০-৬০ টাকা, পটল আগের মতো ৫০-৬০ টাকা, বরবটি ৭০-৮০ টাকা, শিম ১৮০-২০০ টাকা, পেঁপে ২০-২৫ টাকা, শসা ৩০-৪০ টাকা, করলা ৭০-৮০ টাকা থেকে কমে ৫০-৬০ টাকা, লাউ গত সপ্তাহের মতোই (আকারভেদে) ৩০-৫০ টাকা, কচুরলতি ৫০-৬০ টাকা, কচুর ২৫-৩০ টাকা, লেবুর হালির দাম কমে ২৫-২০ টাকা থেকে হয়েছে ১৫-২০ টাকা, ধনেপাতা ১৫০-২০০ টাকা এবং মিষ্টি কুমড়া ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
অপরদিকে, দেশি আদা ১৪০-১৬০ টাকা থেকে কমে হয়েছে ১৩০ টাকা, আমদানি করা আদা ১৮০-২০০ টাকা থেকে কমে ১৪০-১৬০ টাকা, দেশি রসুন আগের মতোই ১০০-১২০ টাকা, আমদানি করা রসুন ১৮০-২০০ টাকা, শুকনা মরিচ আগের মতো ৩৫০-৪০০ টাকা এবং সব ধরনের শাক ১০-২০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে কার্ডিনাল আলু গত সপ্তাহের মতোই ১৫-২০ টাকা, শিল আলু ৪০-৪৫ টাকা, ঝাউ আলু ৪০-৪৫ টাকা, দেশি সাদা আলু ২৫-৩০ টাকা এবং বগুড়ার লাল পাগড়ি ২৫-৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মুলাটোল আমতলা বাজারের সবজি বিক্রেতা আব্দুল গফুর বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় বাজারে শীতকালীন সবজির পরিমাণ বেড়েছে। তবে দাম খুব একটা কমেনি। সরবরাহ বাড়লে দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
মুরগির বাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্রয়লার মুরগি গত সপ্তাহের মতোই ১৭০-১৮০ টাকা, পাকিস্তানি সোনালি মুরগি ২৯০-৩০০ টাকা, পাকিস্তানি হাইব্রিড জাতের মুরগি ২৭০-২৮০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৪৮০-৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে গরুর মাংস অপরিবর্তিত ৭২০-৭৫০ টাকা এবং ছাগলের মাংস ১০০০-১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
খুচরা বাজারে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল আগের মতো ১৮৫-১৯০ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল ১৮০-২০০ টাকা, মসুর ডাল (চিকন) ১৫০-১৬০ টাকা, মাঝারি ১০০-১১০ টাকা, মুগডাল ১৬০-১৮০ টাকা, বুটের ডাল ১২০-১৩০ টাকা, খোলা চিনি ১১০ টাকা, ছোলাবুট ১০০-১১০ টাকা, প্যাকেট আটা ৫৫ টাকা, খোলা আটা ৪৫-৫০ টাকা এবং ময়দা ৬৫-৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
চালের বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহের মতোই স্বর্ণা (মোটা) ৪৮-৫০ টাকা, স্বর্ণা (চিকন) ৫৮-৬০ টাকা, বিআর২৮- ৭০-৭৫ টাকা, বিআর২৯- ৬০-৬৫ টাকা, জিরাশাইল ৭২-৭৫ টাকা, মিনিকেট ৮৫-৯০ এবং নাজিরশাইল ৯০-৯৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, আকারভেদে রুইমাছ ৩০০-৩৮০ টাকা, টেংরা ৪০০-৫৬০ টাকা, মৃগেল ২২০-২৫০ টাকা, কারপু ২৫০-২৬০ টাকা, পাঙাশ ১৫০-২০০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০-২৫০, কাতল ৩০০-৫০০ টাকা, বাটা ১৮০-২৪০ টাকা, শিং ৩০০-৪০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৮০-২৬০ টাকা এবং গছিমাছ ৮০০-১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
জিতু কবীর/এমএন/জিকেএস