চিকিৎসকরা আল্লাহর পক্ষ থেকে সৌভাগ্যবান জাতি উল্লেখ করে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আগে ঘরে ঘরে গিয়ে সেবা দিতেন চিকিৎসকরা, এখন সে সুযোগ নেই। এখন হচ্ছে প্রাতিষ্ঠানিক সেবা। ডাক্তারের কাছে রোগীরা সেবার জন্য ছুটে আসেন। আপনি সেই সেবা কীভাবে দিচ্ছেন তার হিসেব মেলাতে হবে।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) রাজধানীর শাহাবাগে শহীদ আবু সাইদ কনভেনশন হলে ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরাম আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, একজন রোগীকে দেখার জন্য পর্যাপ্ত সময় দিয়েছেন কি না, তাকে কাউন্সেলিং করেছেন কি না, তার ওষুধগুলো ঠিক মতো বুঝিয়ে দিয়েছেন কি না, ওষুধ লেখার সময় আপনার হাত কোনো বিশেষ কোম্পানির দিকে চলে গেল কি না, পরীক্ষা লেখার সময় অবৈধ কোনো কিছু আপনাকে প্রভাবিত করেছে কি না তা হিসাব করতে হবে। সারাদিন রোযা রাখলেন, কিন্তু আপনার এই হিসেব মেলালেন না- সেই রোযা ফেরশতা আপনার মুখের ওপর ছুড়ে মারবেন। তারা বলবেন এই রোযা নিয়ে আল্লাহর কাছে যেতে পারবেন না। আপনার হিসেব না মিললে আপনার রোযা বৃথা।
তিনি আরও বলেন, হাশরের দিন তিন শ্রেণির মানুষকে আল্লাহ প্রশ্ন করবেন, আমি অভুক্ত ছিলাম খাবার দাওনি, তৃষ্ণার্ত ছিলাম পানি দাওনি, অসুস্থ ছিলাম সেবা শুশ্রূষা করোনি, বিপদে ছিলাম এগিয়ে আসনি। বান্দা অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করবে কীভাবে বান্দা রবকে এসব সেবা দেবে। আল্লাহ বলবেন প্রভু সত্তা ছিল সব জায়গায় বিরাজমান।
যাকাতের শাড়ি লুঙ্গি দেওয়া ভুল প্র্যাকটিস উল্লেখ করে তিনি বলেন, আত্মীয় স্বজনের হক সবার আগে। তাদের সহযোগিতা করুন। আর গরীব মানুষকে শাড়ি লুঙ্গি দিয়ে গরীব বানিয়ে না রেখে তাদের কর্মক্ষেত্রের ব্যবস্থা করে দিন।
বাংলাদেশে একটি রিসার্চে দেখা গেছে ইসলামিক ভাবে সঠিকভাবে যাকাত আদায় এবং ডিস্ট্রিবিউশন করা হলে ৬ থেকে ৭ বছরের মধ্যে বাংলাদেশে সব মানুষ স্বাবলম্বী হতে পারবে। কিন্তু স্বাধীনতার পর ৫৬ বছর চলে গেছে এখনো দেশের মানুষ স্বাবলম্বী হতে পারেনি।
এসময় তিনি যাকাত দানে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করেন। এবং সঠিকভাবে যাকাত বিতরণের কথাও বলেন।
এএএম/এমআইএইচএস