লক্ষ্মীপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলা ও শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় নুরুল করিম নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তিনি কমলনগর উপজেলার চর লরেন্স ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে কমলনগরের চর লরেন্স গ্রামের বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় রোববার দুপুরে কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ এলাকায় আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেছে স্থানীয় ১০-১৫ ব্যক্তি।
জানা যায়, মিছিল শেষে সাবেক ইউপি সদস্য নুরুল করিম, প্রবাসী মোস্তাফিজ হাওলাদার, ইসমাইল হোসেন, ব্যবসায়ী আব্দুল মান্নান, রোকন উদ্দিন, সেলুন দোকানি আরিফ হোসেন বক্তব্য রাখেন। তারা নুরুল করিমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রতারণা, দখলসহ হয়রানির অভিযোগ করেন।
গোয়েন্দা পুলিশ সূত্র জানায়, শনিবার রাতে কমলনগরের চর লরেন্স গ্রামের বাড়ি থেকে নুরুল করিমকে আটক করা হয়। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগ রয়েছে। তাকে লক্ষ্মীপুরে ৪ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
স্থানীয় সেলুন দোকানি আরিফ হোসেন বলেন, করিম আমাকে বিদেশে পাঠিয়ে কাজ না দিয়ে প্রতারণা করেছে। ঋণের টাকা এখনো পরিশোধ করতে পারিনি। টাকার চিন্তায় আমি অসুস্থ হয়ে পড়ছি।
ব্যবসায়ী আব্দুল মান্নান বলেন, রাতের অন্ধকারে নুরুল করিম আমার দোকানঘর ভেঙে দখল করে নেয়। অনেকের কাছে গিয়েছি কেউ তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। টাকা দিয়ে তিনি সবাইকে ম্যানেজ করে নিতেন।
চরল রেন্স ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য মো. নুরুল করিম বলেন, করিম মানুষের দোকানপাট দখল করে ট্রলি চালক থেকে কয়েক কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছেন। বিদেশে নিয়ে অসহায় গরীব মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন।
তবে প্রতারণাসহ অভিযোগের বিষয়ে নুরুল করিম সম্প্রতি স্থানীয় সংবাদকর্মীদের নিকট দাবি করেন, শুধু রাজনৈতিক কারণে একটি পক্ষ তার বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে।
লক্ষ্মীপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি সাহাদাত হোসেন টিটো বলেন, করিমকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের চার শিক্ষার্থী হত্যার মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। পরবর্তীতে তাকে সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
কাজল কায়েস/এফএ/এমএস