শবে কদরের রাতে ইবাদতে মশগুল মুসল্লিরা

3 days ago 18

বরকতময় শবে কদরেই নাজিল হয়েছে পবিত্র কোরআন। পবিত্র এই রাতে আল্লাহর নৈকট্য ও রহমত লাভের আশায় ইবাদত বন্দেগিতে মশগুল থাকেন মুসল্লিরা। বিশেষ ভাব-গাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে মুসলমানদের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ শবে কদর। এই রাত উপলক্ষে রাজধানীর মসজিদে-মসজিদে খতমে তারাবির নামাজ শেষে বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়েছে।

সরেজমিনে রাজধানীর বিভিন্ন মসজিদ ঘুরে দেখা যায়, এশার আজানের পর থেকেই অন্যান্য দিনের তুলনায় মসজিদে মুসল্লিদের ভিড় বেশি। অনেক এলাকায় মসজিদে জায়গা না পেয়ে রাস্তায় জায়নামাজ বিছিয়ে নামাজ আদায় করছেন মুসল্লিরা।

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে উপচেপড়া ভিড় ছিল মুসল্লিদের। অনেকে দূর-দূরান্ত থেকে নামাজ পড়তে এসেছেন এখানে।

শবে শব্দটি বাংলা ভাষায় এসেছে ফারসি থেকে। ফারসিতে শাব ও আরবিতে লাইলাতুন অর্থ রাত্রি বা রজনী। অন্যদিকে ‘কদর’ শব্দের অর্থ সম্মান, মর্যাদা, মহাসম্মান। লাইলাতুল কদরের নানা মহিমা কোরআন এবং হাদিসে বর্ণিত আছে। শবে কদর মুসলমানদের কাছে সবচেয়ে ভাবমর্যাদাপূর্ণ রাত হিসেবে পালিত হয়।

হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, যে কেউ ঈমান ও সওয়াবের আশায় লাইলাতুল কদরে সালাত আদায় করতে দাঁড়াবেন, তার আগের সব গোনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে।

যদিও কোরআন এবং হাদিসে শবে কদরকে নির্দিষ্ট কোনো তারিখে বেঁধে দেয়া হয়নি। বলা হয়েছে, রমজানের শেষ দশ দিন যেকোনো বেজোড় রাতই হতে পারে শবে কদর। তবে উপমহাদেশের অনেক আলেমের মতো, ২৭ রমজান দিবাগত রাতকে কদরের রাত বিবেচনা করে আলাদা মর্যাদায় পালন করা হয়।

এছাড়া বাংলাদেশে যেসব মসজিদে খতমে তারাবির পড়ানো হয়, সেখানে সারা মাসে নামাজে পড়া কিরাতের মাধ্যমে কোরআন তেলাওয়াত খতম দেয়া হয় কদরের রাতে। এতে করে একদিকে কোরআন খতম, অন্যদিকে কদরের রাত- দুই মর্যাদাই মুসলমানরা লাভ করতে পারেন। সূত্র: ইউএনবি

জেএইচ

Read Entire Article