গাছ পরিবেশ সুরক্ষায় ছায়া দেয়, বাতাস শুদ্ধ রাখে, জলবায়ু নিয়ন্ত্রণ ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে। গাছের উপকার বলে শেষ করা যাবে না। গাছ কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণে সাহায্য করে। এর ফলে গ্রিনহাউস গ্যাস কমে পরিবেশ সুস্থ থাকে। জীব বৈচিত্র্য রক্ষায় গাছ নানা প্রাণী ও পাখির আবাসস্থল সরবরাহ করে, ফলে প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য বজায় থাকে।
আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের কিডনি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, কিডনি এওয়ারনেস মনিটরিং অ্যান্ড প্রিভেনশন সোসাইটির (ক্যাম্পস) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক এম এ সামাদ গাছের উপকারিতা নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। সখীপুর উপজেলার হাতীবান্ধা ইউনিয়নের তালিমঘরে আজ শনিবার সকালে 'বৃক্ষরোপণ সবুজায়ন এবং ফলের গাছ' শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেছেন।
অনুষ্ঠানে তিনি সবুজায়নের মাধ্যমে পরিবেশ সংরক্ষণ এবং স্থানীয় অর্থনীতির উন্নয়নে বনায়নের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। প্রশিক্ষণে কৃষকদের আধুনিক চাষাবাদ বিষয়ক দক্ষতা বৃদ্ধি এবং ফল ও ফসলের উন্নতমানের চারা সঠিকভাবে রোপণের দুর্বলতা দূরীকরণের জন্য প্রাথমিক নির্দেশনা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে উন্নত জাতের ফল ও ফসলের চারা বিতরণ করা হয়, যা পল্লী অঞ্চলের কৃষি ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনার সৃজন করবে, বলে আশা প্রকাশ করেন।
সভার শেষে কৃষকদের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ ও উন্নত জাতের ফল ও ফসলের চারা বিতরণ করা হয়। রুরাল ডেভেলপমেন্ট সংস্থা (আরডিএস) এর উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আওলাদ হোসেন। আলোচনায় অংশ নেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মুহাম্মদ আমীন শরীফ সুপন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল রনী, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম ভূইয়া, হাতীবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শাহজাহান খান রবিন, আরএমটিপি প্রকল্পের কমসালটেন্ট প্রফেসর উজ্জ্বল কুমার নাথ, কনসালটেন্ট মিজানুর রহমান, আরডিএসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নূরু উদ্দিন প্রমুখ।
এইচআর/এমএস