জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, সরকারের সামনে একের পর এক চ্যালেঞ্জ আসছে। শক্তভাবে এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। সরকার ও দেশবাসীর সঙ্গে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সবসময় ঐক্যবদ্ধ থাকবে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নির্বাচনমুখী দল। বাংলাদেশের সব আসনে প্রার্থী দেওয়ার মতো প্রস্তুতি আলহামদুলিল্লাহ আমাদের আছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বেলা ১২টায় চট্টগ্রাম সফরে গিয়ে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, একটি জাতীয় নির্বাচনের দিকে যখন জাতি অভিযাত্রা শুরু করেছে, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কাছে যখন দায়িত্ব হস্তান্তরের একটি নিউ ডাইমেনশনে যাত্রা শুরু করেছে। সেই মুহূর্তে এই তৎপরতা উদ্বেগজনক। জাতীয় নির্বাচনের দিকে যখন যাত্রা, তখনই ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।
জামায়াত সেক্রেটারি বলেন, তরুণ আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের নিষ্ঠুর ও বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডে পুরো দেশের মানুষ আজ স্তম্ভিত। আমরা এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্তদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার দাবি করছি। দ্রুততম সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় এনে বিচার দাবি করছি। এ হত্যাকাণ্ডে উসকানি ও সৃষ্ট পরিস্থিতি যাদের জন্য তৈরি হয়েছে তাদের এ তৎপরতা, সাম্প্রদায়িক তৎপরতা, সহিংস এ তৎপরতা এবং দেশের অখণ্ডতাবিরোধী এ তৎপরতা চলতে পারে কি না- এটা বর্তমান উপদেষ্টা পরিষদের তিন প্রধান উপদেষ্টাসহ সরকারের গভীর বিবেচনার সময় এসেছে। তা না হলে জাতির সামনে একটি কঠিন পরিস্থিতির আশঙ্কা করছে সারা দেশবাসী। এ রকম একটি জঙ্গিবাদী ও সন্ত্রাসী সংগঠনের কর্মকাণ্ড কী করে চলতে পারে? আমাদের দেশে আইন আছে। সে আইনের ভিত্তিতে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত বলে আমরা মনে করি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মওলানা মোহাম্মদ শাহজাহান, চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতে ইসলামীর আমির শাহাজান চৌধুরী, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সাবেক আমির ও চট্টগ্রাম অঞ্চল টিম সদস্য জাফর সাদেক, জামায়াত নেতা অধ্যাপক ড. আবু হানিফা নোমান, চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াত ও শিবিরের নেতারা।